বকেয়া বেতন চাওয়ায় কক্সবাজার পৌরশহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের মোহাম্মদীয়া রোডের সৈকত পাড়াস্হ”হিল ডাউন রিসোর্ট এর ম্যানেজারের বিরুদ্ধে সদর থানায় উল্টো অভিযোগ দায়ের করেছেন রিসোর্ট মালিক জাফর।
গত ২৭ জুলাই ম্যানেজার ফয়সালের বিরুদ্ধে অভিযোগটি দায়ের করা হয়।
রিসোর্টের ম্যানেজার-ফয়সাল ছিদ্দিক (৩১) চকরিয়ার খুটাখালী ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মধ্যম মেদাকচ্ছপিয়া এলাকার মৃত আবু বকর ছিদ্দিকের ছেলে। রিসোর্টের মালিক-মোঃ-জাফর(৩৮) কক্সবাজার পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের কলাতলী এলাকার মোঃ হোসেনের ছেলে।
ভূক্তভোগি হিল ডাউন রিসোর্টের ম্যানেজার ফয়সাল জানান,আমি ২০২১সালের ৫ সেপ্টেম্বরে ম্যানেজার হিসেবে রিসোর্টটিতে যোগদান করি।আমার ধায্যকৃত বেতন থেকে কিছু দিয়ে আর কিছু না দিয়ে বকেয়া রাখেন রিসোর্ট মালিক জাফর।হঠাৎ গত ২৬ জুলাই আমার ছোট শিশু সন্তানের শ্বাস কষ্ট বেড়ে যাওয়াতে হাসপাতালে ভর্তি করায়।পরে আমার স্ত্রী খবরটি আমাকে ফোনে জানান।তখন আমি রিসোর্টের মালিক জাফরকে ফোনে ডেকে এনে,বিষয়টি জানিয়ে ছুটি নিয়ে,উনার সামনে থেকে বাড়ীতে চলে আসি।এর পূর্বে থেকে আমার পায়ের বৃদ্ধাআগুলে ব্যথা পায়।এখন বাড়ীতে এসে হাটাঁহাটি করাতে আগুলটি ইনফেকশন করে ফুলে যায়।তখন স্হানীয় এক চিকিৎসককে দেখালে তিনি অপারেশন করে বেনডিস করে দেন।আমার বিপদের উপর বিপদ।পরিবারের দুরবাস্হ দেখে আমি ও আমার স্ত্রী মিলে রিসোর্ট মালিক থেকে বকেয়া বেতন দাবী করি।এছাড়াও আরো কিছুদিন ছুটি দিতে রিকোয়েস্ট করি।এমতাবস্থায় রিসোর্ট মালিক আমাকে অকাথ্য ভাষা গালিগালাজ করে।এরপরে অন্য রিসোর্টের আরেক মালিক দিয়ে ফোন আমাকে গালিগালাজ সহ প্রাণ নাশের হুমকি-দমকি দেন।এরমধ্যে গত ২৭জুলাই আমি নাকি রিসোর্ট থাকা আলমিরার ক্যাশ ভেঙ্গে ৭০হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে আসি বলে উল্টো সদর থানায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জেনেছি।তাছাড়া রিসোর্টের ভিতরে বাহিরে সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।সেহেতু সিসি ফুটেজে ভাল আর মন্দ সংরক্ষিত রয়েছে।আমি অপরাধি হলে ফুটজ দিয়ে প্রমাণ করুণ।তা না করে কেন?বকেয়া বেতন না দেওয়ার পায়তারা করতে থানায় অভিযোগ করেছেন।আমিও নির্দোষ প্রমাণের জন্য রিসোর্ট মালিক জাফরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের কবর।যদি আমাকে দোষী প্রমাণ করাতে পারে।তাহলে আইন মোতাবেক শাস্তি মাথা পেতে নিব বলে জানিয়েছেন।
এবিষয়ে হিল ডাউন রিসোর্ট মালিক মোঃ জাফরের সাথে মুঠোফোন জানতে চাইলে, তিনি বলেন, ফয়সাল আমার রিসোর্টের ম্যানেজার ছিল।হঠাৎ ছুটি নিয়ে বাড়ীতে চলে যায়।তবে যাওয়ার পূর্বে যে ক্যাশ ভেঙ্গে টাকা নিয়ে যাবে আমি কল্পনা করিনি।পরে চেক করতে গিয়ে টের পেয়ে ফোনে ফয়সালকে না পেয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি।আমার কাছে প্রমাণ আছে।আপনি পারলে ওকে নিয়ে আমার কাছে আসুন বলে লাইন কেটে দেন।