দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের কমিটি শূন্য চকরিয়া উপজেলায় দুই সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে গত ৩১ জুলাই। নবগঠিত কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরহান মাহামুদ রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকিত হোসেন সজিব।
নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ দেড় বছর পরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নবগঠিত এ কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরীক্ষীত ছাত্রনেতা, চকরিয়ার ছাত্র সমাজের প্রিয়মুখ আরহান মাহমুদ রুবেলকে সভাপতি নির্বাচিত করায়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সহ কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন ও আদনান মারুফের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন আরহান মাহামুদ রুবেল।
ছাত্রলীগ সভাপতি আরহান মাহমুদ রুবেল তার ফেসবুক টাইমলাইনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লিখেছেন —–
“আলাহ মহান! সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়া’লার।
“একটি শীতল ষড়যন্ত্র যতই করো হুকুমজারি
শেখ হাসিনার সংগ্রামে লড়তে পারি”
৫৬ হাজার বর্গমাইল জুড়ে যে সংগঠনটির আলো দেখানো ভাস্বর প্রতিদ্ধনী, যে সংগঠন অন্যায়ের বিরুদ্ধে গড়ে তোলে মানবিক প্রতিরোধ সেই সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চকরিয়া উপজেলা শাখার সদ্যঘোষিত কমিটিতে আমাকে সভাপতি মনোনীত করায় আমি সর্বপ্রথম চিরকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজপথের প্রমিথিউজ প্রগতিশীল ছাত্রনেতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ভাইয়ের প্রতি এবং বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাদার প্রতি, আমি চিরঝনী আমার প্রিয় নেতা নান্দনিক ছাত্রনেতা কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম ভাই ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক আবু মোঃ মারুফ আদনান ভাইয়ের প্রতি।
আমি হলফ করে বলতে পারি আপনাদের দেয়া আমানত আমি সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে পালন করবো।
আলহামদুলিল্লাহ সমস্ত বাধা পেরিয়ে আমি সফল হয়ছি, আমাকে প্রতিপদেই বাধাগ্রস্ত করা হয়ছে, আমার বিরুদ্ধে ত্রিমুখী ষড়যন্ত্র করা হয়ছে, আমাকে দমিয়ে রাখার তীব্র চেষ্টা করা হয়েছে কিন্ত ষড়যন্ত্রকারীদের নীলনকশা ভেস্তে দিয়ে আমি প্রমান করেছি কিভাবে অধ্যবসায়,আবিশ্বাস,সততা আর গণমানুষের ভালবাসা দোয়া নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়।
আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতেও আমার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে আমি বিশ্বাস করি আমি আমার কর্মদক্ষতার মাধ্যমে সবকিছুকে ছাপিয়ে চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগকে একটি সুশৃংখল, পিতা মুজিবের আদর্শিক এবং কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ ইউনিট হিসাবে আমি গড়ে তুলবো।
পরিশেষে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিবর্গ বন্ধু বান্ধব ছোট ভাই বড় ভাই যারা আমার সময়ে অসময়ে সাহস শক্তি যুগিয়েছেন, আমাকে স্নেহ,শ্রদ্ধা আর ভালবাসা দিয়ে আগলে রেখেছেন আমি তাদের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে আমি আমার দায়িত্ব পালন করবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ সকলের মঙ্গল করোক ” জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ”
এছাড়া, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরহান মাহামুদ রুবেল বিগত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তার বাবা জমির উদ্দিন চকরিয়া পৌর আওয়ামীলীগের ৫ নং ওয়ার্ডের দুইবারের সাধারণ সম্পাদক। তার চাচা জামাল উদ্দিন জয়নাল নব্বই দশকের তুগুড় ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন।বর্তমান চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।অত্যান্ত ন্যায় – নিষ্টার সাথে দীর্ঘদিন চকরিয়ার রাজপথে দাপিয়ে বেড়া এ আওয়ামী পরিবারের সন্তান আরহান মাহামুদ রুবেল চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ায় তৃণমূল ছাত্রলীগের প্রাণ ফিরে পেয়েছে বলে ধারণা করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।