কক্সবাজারের চকরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকান ভাংচুর ও নগদ অর্থ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তজেনা ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার ( ৯ আগষ্ট) রাত ৮টার দিকে উপজেলা কাকারা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব কাকারা পাহাড়তলীস্থ এলাকার মোক্তার আহমেদের মুদির দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাতে পূর্ব কাকারা পাহাড়তলী, ৯নং ওয়ার্ডের মোঃ নাজেম উদ্দিনের ছেলে মোঃ শওকত (২৬) দোকানে আসে। এসময় মালামাল বিক্রয় করা সময় কথা-কাটাকাটি হয়। এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাগান্বিত হয়ে দোকানদার মোক্তার আহমেদকে গালিগালাজ করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দোকানী মোক্তার আহমেদ তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলে সে দোকানীর সাথে বাগবিতণ্ডা জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তার অপর ভাই মনজুর আলমকে (৩২) মুঠোফোনে কল দিয়ে মোক্তার এর দোকানে আসতে বলে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই মোঃ কাসেম (৩৫), আবদু শুক্কুর (৫০) মনোর আলম (২৮) মোঃ রায়হান (২৫) মোঃ রাকিব (২২) মোঃ শাহিন (২২) মোঃ নূর হোসেন (২৭)সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী কায়দায় হাতে ধারালো দা, ছোরা, লোহার রড ও লাঠি ইত্যাদি মারাত্মক দেশীয় অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রে পরিকল্পিতভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডুকে দোকানীকে মারধর করে। এসময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ টাকাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় বাঁধা দিতে গিয়ে দোকানীর ছোট ভাই মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে এলোপাথাড়ি মারধর করে, জাহাঙ্গীর আলম কে উদ্ধারের জন্য দোকানির স্ত্রী রোজিনা বেগম এগিয়ে আসলে তাকে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে মাটিতে ফেলে দেয় এক পর্যায়ে রোজিনা বেগম এর গলায় থাকা ১ বরি ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে নেয় যার মূল্য ৭০,০০০ টাকা। আহতদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক মোক্তার আহমেদ বলেন, সন্ত্রাসীবাহিনার পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বর্তমানে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এলাকার তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে। এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে চুরিচামারি, চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত আছে বলে জানান।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাদের অভিযোগ পেয়েছি। সূষ্ঠু ব্যবস্থা নেওয়া হবে।