কক্সবাজারের পেকুয়ায় অপহরনের অভিযোগ তুলে অসহায় একটি পরিবারের সদস্যদের বারবার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সম্প্রতি পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী এলাকায়। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বাইম্যাখালী এলাকার আশকর আলীর পুত্র জালাল উদ্দিনের সাথে একই এলাকার আবছার উদ্দিনের কন্যা উম্মে জামিলা প্রকাশ আকাশমনির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন পর তারা নিজেরাই পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার পরে তার পিতা নুরুল আবছার বাদি হয়ে জালাল উদ্দিনসহ আরো তিন জনের নামে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নারী ও শিশু আদালত কক্সবাজারে মামলা দায়ের করেন। যেটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। পিবিআই কক্সবাজরের একটি হোটেল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে এসময় জালাল উদ্দিন পালিয়ে যায়। পরে (পিবিআই)র তদন্তে কল লিস্ট ও মেয়ের জবানবন্দিতে মেয়ের মায়ের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পান এবং তাকে মামলায় অর্ন্তভুক্ত করে পিবিআই।পরে আদালত গত ৯ মার্চ মেয়েকে তার বাবার জিম্মায় দিয়ে দেন। মামলার প্রধান আসামী পলাতক রয়েছে এখানো। অভিযোগ উঠেছে মামলার বাদি মেয়েকে আবার অপহনের নাটক সাজিয়ে জালাল উদ্দিনের পরিবারের অন্য নিরহ সদস্যদের হয়রানীর চেস্টা করছেন। আশকর আলী অভিযোগ করেন, আমার ছেলে অন্যায় করলে তার বিচার হবে ইতিমধ্যেই পিবিআই তদন্ত্রে বেরিয়ে এসেছে এই ঘটনার সাথে আমরা জড়িত নই। আমার ছেলের সাথে আবছারের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল শুনেছি তারা মেয়ের মায়ের পরামর্শে পালিয়ে গেছে তা ইতিমধ্যেই প্রমানিত হয়েছে। তার পর আদালত তাদের মেয়েকে তাদের জিম্মায় দিয়েছে। মামলা আদালতে চলমান তার পরেও স্থাণীয়ভাবে আমরা দুই পরিবার কয়েকবার বৈঠক করেছি তাতে মেয়ের বাপ আমাদের কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমরা গরীব মানুষ এই টাকা কোথায় পাবো। কিন্ত দুঃখজনক হলো আমরা এখন শুনতেছি এবং পত্রিকা মারফত পেয়েছি তাদের মেয়ে নাকি আবার অপহরণ করেছে কে বা কারা? আমার কথা হলো আমরা কেন অপহরণ করতে যাবো? আমার ছেলের সাথে আমাদের কোন নুন্যতম যোযোগ নাই। আমার মনে হচ্ছে একটি মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে হয়রাণী করতে তারা নতুন চেষ্টা শুরু করেছেন। শুধু তাই নয় কক্সবাজারের স্থাণীয় দৈনিকে আমরা অপহরণ করেছি বলে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সংবাদ ছাপানো হয়েছে। যার নিন্দাও প্রতিবাদ জানাই আমি। আমি এঘটনার সুষ্টু তদন্ত করে সত্যতা বের করে আনার জন্য আইন শৃঙখলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানাই এবং দয়া করে আমি হয়রানী থেকে মুক্তি চাই। বয়োবৃদ্ধ আশকর আলীর স্ত্রী নুরনাহার বলেন, আমাদেরকে গালাগালিসহ নানান হুমকি দেয়া হচ্ছে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারিনা। আমরা বেশি হয়রাণীর শিকার হচ্ছি। আমরা আসলেই এ ঘটনার সাথে জড়িত নই আমার ছেলে অন্যায় করে থাকলে তা যদি আইনের তদন্তে বেরিয়ে আসে তাহলে তার শাস্তি হোক তাতে আমাদের কোন সমস্যা নাই কিন্ত আমরা নিরহ মানুষ আমরা কেন হয়রাণীর শিকার হবো? বৃদ্ধ বয়সে আমার স্বামীকে তারা অপমান অপদস্ত করছে নিয়মিত আবার নাকি মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছে আমাদের বিরুদ্ধে, আমরা সঠিক বিচার চাই এবং তদন্ত চাই।