পেকুয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি দখল বেদখলকে কেন্দ্র করে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, পেকুয়া মৌজার বিএস ৪১৭২ নং দাগের .৭০ একর জমি নিয়ে পেকুয়া সদর ১ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গোঁয়াখালী ফতেহআলী মাতবরপাড়া এলাকার নুুরল কায়ুম চৌধুরীর স্ত্রী নুর আয়েশা গং ও একই এলাকার নুরুল হায়দার চৌধুরীর পুত্র রাহেদুল হায়দার চৌধুরীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। কাগজপত্র পর্যালোচনা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, পেকুয়া মৌজার আরএস ২৯৯ নং খতিয়ানের রেকর্ড মালিক ফতেহ আলীর মৃত্যুতে ওয়ারিশ সুত্রে প্রাপ্ত হন সিরাজুল হক চৌধুরী। জমির মালিক সিরাজুল হক চৌধুরী সরকারের ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করায় বিএস ২০৯ ও ৬৮১ নং খতিয়ানের জমি বিগত ১৯৫৭-৫৮ ইং সনে নিলাম হয়ে যায়। কুতুবদিয়ার মৃত হাজী ওমর মিয়ার পুত্র জালাল আহমদ চৌধুরী বিগত ১৯৬২-৬৩ইং নিলাম খরিদ করে জমির মালিক হন। তিনি বিগত ১৭-০৪-১৯৬৮ ইং সনে উক্ত জমি ১১৪১ নং কবলামুলে জহিরুল হক চৌধুরীকে বিক্রি করেন। এরপর তিনি ৩০-০৮-১৯৭২ ইং তারিখে ২১৩৮ নং ও ০১-০২-৭৩ ইং তারিখে ২৬৫ নং রেজি: কবলামুলে ছকিনা বেগমকে বিক্রি করেন। তিনি ১৬-০৩-১৯৭৪ ইং তারিখে ৫৭০ নং কবলামুলে আবদুর রহমান খরিদামূলে প্রাপ্ত হন। তিনি ০২-০১-৭৯ ইং তারিখে ৩১ রেজি: কবলামুলে ছায়েদা হায়দার চৌধুরী ও ০৮-০২-১৯৮০ ইং তারিখে ১১০০ নং রেজি: কবলামুলে খালেদ নেওয়াজ চৌধুরী খরিদ মুলে মালিক হন। বিগত ১৮-১১-২০০৩ ইং তারিখে ৪৯৫২ নং রেজি: কবলামুলে .৩৮ একর ও ১২-১০-২০০৬ ইং তারিখে ৩২০ রেজি: কবলামুলে .৩৮ একর মোট .৭৬ একর জমি বিএস ২০৯ নং খতিয়ানে ও ৪১৭২ নং দাগের জমি রাহেদুল হায়দার চৌধুরীকে বিক্রি করেন। এ দিকে নি:স্বত্তবান কবলামূলে নুর আয়েশা জমির ওয়ারিশ দাবী করে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়। ওই বাদী নুর আয়েশার এডিএম কোর্টে দায়েরকৃত অপর ৪২৬/২১ খারিজ হয়ে যায়। বর্তমানে উক্ত জায়গার উপর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশ মোতাবেক অপর ৪৭৬/২১ ইং বহাল রয়েছে। উক্ত বিষয়ে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সর্বশেষ গত ১৩ জুলাই বিরোধীয় জমিতে খুঁটি দিয়ে টিনের বেড়া তৈরী করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানার এস,আই ফরিদসহ সঙ্গীয় ফোর্স গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এতে তারা ক্ষান্ত হননি। জমির মালিক রাহেদুল হায়দার চৌধুরী জানান, তারা দেশের প্রচলিত কোন আইন মানছেনা। উক্ত জায়গায় ১৪৪ ধারা ও পরবর্তীতে ১৮৮ ধারা বলবৎ রয়েছে। তারা অমান্য করে বিবাদীগণ রাতের আঁধারে আমার ভোগ দখলীয় জায়গায় টিনের ঘেরা দিয়ে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি টিনের ঘেরা দেওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে বিবাদীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি লাশ গুম করে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। পুনরায় জমি জবর দখলের চেষ্টা করতেছে। যে কোন মুহুর্তে উভয়পক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষসহ খুন খারাবী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে রাহেদুল হায়দার চৌধুরী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পেকুয়া থানায় গত ১২ আগষ্ট সাধারন ডায়রী করেন। যার নং ৪৯০/২২। তিনি আরো জানান, এলাকার কুচক্রীমহল ও প্রভাবশালী মহলের ইন্দনে সোহেল গং আমার জায়গায় জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ করার পাঁয়তারা করতেছে। এ বিষয়ে পেকুয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এস,আই মোজাম্মেল হোসাইন জানান, বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত হয়েছি। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক বিবাদী সোহেল গংকে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য তাগিদ দিয়েছি। উক্ত বিরোধীয় জায়গায় কোন স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। আইন অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস প্রদান করেন।