পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের আন্নরআলী পাড়া এলাকায় প্রকাশ্যে দিবালোকে রোপিত ধানের চারা নষ্ট করলো দুবৃর্ত্তরা। ১৩ আগষ্ট সকাল ৯ টার দিকে ওই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ওই এলাকার মৃত হাজী বাদশাহ মিয়ার ছেলে নুরুল আজিম ও একই এলাকার মৃত সোলেমানের পুত্র মোক্তার আহমদের মধ্যে ১০ শতক জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর সুত্র ধরে নুরুল আজিম গং গত শুক্রবার ওই বিরোধীয় জমিতে ধানের চারা রোপণ করে। এ দিকে মৃত বদরুস মিয়ার পুত্র নুরুল ইসলাম গং নুরুল আজিমের পক্ষে অবস্থান নেন। অপরদিকে মোক্তার আহমদের পক্ষে ভাড়াটিয়া হিসেবে সবজীবনপাড়ার হোসাইন আহমদের পুত্র রেজাউল করিম গং গোপনে নুরুল হোসাইনের বাড়িতে অবস্থান নেন। ওই দিন সকালের দিকে নুরুল ইসলাম গং ধানের চারা রোপনের সময় রেজাউল করিম গং দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে বাধা প্রদান করে। প্রকাশ্যে দিবালোকে অস্ত্র প্রদর্শন করে জমি জবর দখল করতে যায় রেজাউল করিম গং। এ সময় নুুরুল ইসলাম গং দুবৃর্ত্তদের ধাওয়া দেয় পরে রেজাউল করিম গং পালিয়ে যায়। ওই দিন দুপুরে জেলের চাউলের জন্য বারবাকিয়া পরিষদে যায় রেজাউল করিম। বাড়ি ফিরতে টমটম গাড়ীতে করে মৌলভীবাজার নামক স্থানে আসলে নুরুল ইসলাম গং তাকে গতিরোধ করে কুপিয়ে জখম করে। এর জের ধরে শনিবার সকাল ৮ টার দিকে রেজাউল করিমের চাচাত ভাই ছরওয়ার লোকজন নিয়ে রোপিত ধানের চারাগুলি উপড়িয়ে ফেলে। বর্তমানে আহত রেজাউল করিম চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্র্শী ও স্থানীয় লোকজন অনেকে সাংবাদিকদের জানান, রেজাউল করিম প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের কারণে নুরুল ইসলাম গং তাকে কুপিয়ে জখম করে। পেকুয়া থানার ওসি ফরহাদ আলী জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমি পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা করা হবে।