কক্সবাজারের পেকুয়ায় লাঠিসোটা নিয়ে দখলে নিল প্রধান শিক্ষকের জমি। এতে করে স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্ধ প্রকট আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটার পূর্বপাড়ায় জমিদখলের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ৮.৩৭ শতক জমি নিয়ে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালীর মো: ইসমাইলের পুত্র জামাল উদ্দিন গং ও টইটং ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ধনিয়াকাটার ছিদ্দিক আহমদের পুত্র আবুল কালাম গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ৮.৩৭ শতক জমি ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর রেজিষ্ট্রি সম্পাদন হয়েছে। আবুল কালামের পিতা ছিদ্দিক আহমদ ওই জমি বিক্রি করেন। বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালীর মো: ইসমাইলের ২ পুত্র জামাল উদ্দিন ও মো: কামাল উদ্দিন ওই জমি ২২৬৮ নং কবলামুলে খরিদ করেন। খরিদ করার পর থেকে ওই জমি মাষ্টার কামাল উদ্দিন গং ভোগ করছিলেন। গত বুরো মৌসুমে কামাল উদ্দিন গং ওই জমিতে ফসল উৎপাদন করেন। চলতি বর্ষা মৌসুমে জমিতে আমন ধান রোপণের জন্য কামাল উদ্দিন গং জমির পরিচর্যা করেন।
জানা গেছে, ৭ আগস্ট সকালে ছিদ্দিক আহমদের পুত্র আবুল কালাম, ছেলে মো: আলমসহ ৫/৬ জনের দুবৃর্ত্তরা লাঠিসোটা নিয়ে জামাল উদ্দিন গংদের জমিতে হানা দেয়। এ সময় তারা জমি দখলের কুমানসে সেখানে আমন ধানের চারা রোপণ করে। জমির মালিক কামাল উদ্দিন ১ জন শিক্ষক। তিনি সাতকানিয়া চিববাড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অপর কবলাদার জামাল উদ্দিনও ১ জন ব্যবসায়ী। তারা সবাই ন¤্র, ভদ্র ও উচ্চ শিক্ষিত। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন জানান, আমি ও আমার ভাই জামাল ৮.৩৭ শতক জমি ছিদ্দিক আহমদের কাছ থেকে কবলা নিয়েছি। জমি আমরা ভোগ করছিলাম। গত কয়েকদিন আগে আবুল কালাম পেশীশক্তি নিয়ে আমাদের জমিতে এসে আমন ধানের চারা রোপন করে। কামাল উদ্দিনের স্ত্রী বারবাকিয়া হোসনে আরা বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জন্নাতুল ফেরদৌস বলেন, দু:খ পেয়েছি। এভাবে ভাল মানুষের উপর কেন তারা জুলুম করে। জামাল উদ্দিনের স্ত্রী আয়েশা বেগম জানান, আমার স্বামী ও বড়ভাই কামাল সাহেব ন¤্র ও ভদ্র মানুষ। জমিটি লাঠিসোটা নিয়ে দখলে নিয়েছে।
কামাল উদ্দিনের পিতা বারবাকিয়া ইউপির সাবেক মেম্বার মো: ইসমাইল জানান, আমি ও আমার ছেলেদের উপর কি পরিমাণ অবিচার জুলুম চলছে ভাষায় প্রকাশ করা যাচ্ছেনা। সারাজীবন আ’লীগ করেছি। কিন্তু কষ্টের মধ্যে থেকে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলবো আপনি আমাদেরকে আইনী সহায়তা দিন। আমার ছেলে সন্তানরা খুবই নির্যাতনের মধ্যে রয়েছে।