চকরিয়ায় বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির মেম্বারশীপ (সভ্য পদ) নিয়ে পারিবারিক বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরে এক আড়তদার ব্যবসায়ীকে বাড়ি ফেরার পথে ডেকে নিয়ে দা – কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বদরখালী ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়ায় ঘটেছে এ ঘটনা। এ ঘটনায় শনিবার রাতেই চকরিয়া থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত রেখে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় চরম আতংকে আছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আসামি গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন আহত নজরুল ইসলামের ছেলে ও মামলার বাদী সালমান শাহ্। সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত ব্যাক্তিরা হলেন, ওই এলাকার আবু ছৈয়দের পুত্র আড়তদার ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী জাহেদা বেগম (৪৫), তাদের ছেলে মো: হাসান (১৭)। তাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বদরখালী ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়া এলাকার আবু ছৈয়দের পুত্র আড়তদার ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ও তার ছেলে মো: সালমান শাহ্ দোকান বন্ধ করে বদরখালী কে.বি জালাল উদ্দিন সড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। প্রতিমধ্যে কুতুবদিয়া পাড়াস্থ আড়তদার ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম চলাচল রাস্তায় পৌছালে স্থানীয় মোস্তফা ও শাহজাহানের নেতৃত্বে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সদস্য পদ (সভ্য পদ) নিয়ে মনোমালিন্যের জের ধরে তাদের পথ অবরুদ্ধ করে দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্রনিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়। এতে আড়তদার ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে কুপিয়ে পরো শরীরে মারাত্মক ভাবে জখম করে। তার কাছে থাকা ব্যবসার বিক্রিত নগদ ১লক্ষ ২৫ হাজার থাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। তার ও ছেলে সালমানের শোর চিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকে মারধর করে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত আড়তদার ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম (৫৫) কে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহতের ছেলে সালমান বলেন, হামলাকারীরা আমার বাবার শরীরের প্রত্যেকটি যায়গা কোপ দিয়ে খন্ডবিখন্ড করেছে। ওনার শরীরে সাড়ে চারশোর উপরে সেলাই করা হয়েছে। এমন জঘন্যতম ন্যাক্কারজনক ঘটনার একসপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখনো এজাহার নামীয় কোন আসামি গ্রেফতার করতে পারে নি পুলিশ। আসামি পক্ষের লোকজন মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এ নিয়ে আমরা চরম আতংকে আছি।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।