কক্সবাজারের পেকুয়ায় ছাত্রলীগ টইটং ইউনিয়ন শাখার সাবেক সভাপতি (প্রয়াত) গোলাম মোস্তফার সহধর্মিণীকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। স্থানীয়রা প্রয়াত সাবেক ছাত্রনেতার স্ত্রীকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ১৯ আগষ্ট (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ওয়াজখাতুনপাড়া নামক স্থানে হামলার এ ঘটনা ঘটে। জখমী নারীর নাম নুরুন্নাহার প্রকাশ পাখি বেগম (৩৫)। তিনি টইটং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি (প্রয়াত) ও ওয়াজখাতুনপাড়ার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফার স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পৈত্রিক জমি নিয়ে ওয়াজখাতুনপাড়ায় মৃত মাষ্টার নুরুচ্ছফার ওয়ারিশদের সাথে প্রতিবেশী মৃত মাও: গোলাম কাদেরের ছেলে আবদুল মালেক প্রকাশ বাহাদুর গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে সালিশি বৈঠকও হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে আবদুল মালেক প্রকাশ বাহাদুর গং জমিতে গোপনে ধানের চারা রোপণ করে। খবর পেয়ে পরদিন শুক্রবার ১৯ আগষ্ট সকালে মৃত মাষ্টার নুরুচ্ছফার পুত্রবধূ সাবেক ছাত্রনেতা প্রয়াত গোলাম মোস্তফার স্ত্রী নুরুন্নাহার প্রকাশ পাখি ও মৃত মাষ্টার নুরুচ্ছফার মেয়ে এনজিও কর্মী এলুমুন্নাহার, উম্মে খানম, শওকত আরাসহ পরিবারের মহিলারা জমি দেখতে গিয়েছিলেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে মৃত মাওলানা গোলাম কাদেরের পুত্র আবদুল মালেক প্রকাশ বাহাদুর, ভাই মাও: ইউনুছ, মাও: ইসহাক, মাও: মোস্তাফিজের ছেলে ছমিউল্লাহসহ ৭/৮ জনের উত্তেজিত লোকজন নুরুন্নাহার পাখিকে কুপিয়ে বামহাতে জখম করে। তারা মৃত মাষ্টার নুরুচ্ছফার মেয়ে শওকত আরাকেও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাতে জখম করে। এনজিও কর্মী এলমুন্নাহার জানান, ২০ শতক জমি তারা পেশী শক্তি ও গায়ের জোরে জবর দখলের পাঁয়তারা করছে। রাতে গিয়ে জমিতে ধানের চারা রোপণ করে। সকালে আমরা জমিতে গিয়েছিলাম। এরপর তারা দা, লোহার রড নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করে। জখমী নুরুন্নাহার জানান, দা’য়ের কুপে আমার বামহাতে জখম করা হয়েছে। লোহার রড দিয়েও হাতে বারি মারে। শওকত আরা জানান, কিল,ঘুসি ও লাথি মেরে আমাকে জমিতে মারধর করা হয়েছে। নুরুন্নাহার পাখির মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা জানায়, আমার আম্মুকে কুপ দিয়ে হাতে জখম করে। পেকুয়া থানার ওসি ফরহাদ আলী জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।