কক্সবাজারের পেকুয়ায় মোহাম্মদ আরিফ (৩৫) নামের এক জেলের সন্ধান মিলছে না। গত ২ দিন ধরে তার হদিস নেই। ছেলে নিখোঁজ থাকায় জেলে মোহাম্মদ আরিফের মা জাহান আরা বেগম পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ২০ আগষ্ট (শনিবার) সকাল ১০ টা থেকে মোহাম্মদ আরিফ নিখোঁজ রয়েছে। মোহাম্মদ আরিফ পেশায় ১ জন জেলে। তার বাড়ি উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের পশ্চিমকুল এলাকায়। তিনি ওই এলাকার বশির আহমদের পুত্র। পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগের আর্জিতে নিখোঁজ আরিফের মা মগনামা ইউনিয়নের পশ্চিমকুল গ্রামের বশির আহমদের স্ত্রী জাহান আরা বেগম জানান, মোহাম্মদ আরিফ ২০ আগষ্ট (শনিবার) সকাল ১০ টা থেকে নিখোঁজ রয়েছে। সে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার গহিরায় ফিশিং বোটের মাঝি মাল্লাহ হিসেবে কর্মরত। ওই দিন সকালে পেকুয়া বাজারের পশ্চিম অংশ হতে তাকে ধস্তাধস্তি করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই নারী আরো জানান, গত ৬ মাস পূর্বে আরিফের ছোট ভাই মোহাম্মদ শওকত ও মগনামার শুদ্ধাখালীপাড়ার মৃত ইয়ার মোহাম্মদের মেয়ে হুমায়রা জন্নাতের বিয়ে হয়। ১ মাস আগে থেকে ওই দম্পতির সংসারে বিরোধ ও কলহ দেখা দিয়েছে। বনিবনা হওয়ায় হুমায়রা জন্নাত ১ মাস ধরে বাপের বাড়িতে অবস্থান করছে। পুত্রবধূর গতিবিধি অত্যন্ত সন্দেহজনক। তাছাড়াও সংসারের প্রতি তার দায়বদ্ধতা নেই বললেও চলে। এর জের ধরে গত কয়েকদিন আগে থেকে হুমায়রার ফুফাতো ভাই ছলিমুল্লাহর ছেলে আহমদ ছবি আমার ছেলে আরিফকে মুঠোফোনে প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিয়েছিল। মগনামা ইউনিয়ন পরিষদে বিচার আছে। হুমায়রা ও মোহাম্মদ শওকতের বিরোধ মিমাংসা করতে ওই দিন বৈঠকের কথা ছিল। নিষ্পত্তির কথা বলে হুমায়রার অনুগত নিকটাত্মীয়রা আমার ছেলেকে পেকুয়ায় নিয়ে আসে। আসার সময় আমার ছেলের কাছে ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা ছিল। ফিশিং বোটে জেলেদের দাদনের জন্য ওই টাকা নিয়ে পেকুয়ায় আসে। মূলত বিপুল টাকাসহ ওই দিন আমার ছেলেকে অপহৃত করা হয়েছে। আরিফের স্ত্রী রোকসানা আক্তার জানান, ৩০ ঘন্টা হয়েছে। এখনো আমার স্বামীর খোঁজ নেই। ছোট ভাই জেলে মো: শওকত জানান, আমার শাশুড় বাড়ির লোকজন তাকে এখানে বিচারের কথা বলে নিয়ে এসেছে। এখন টাকাসহ বড় ভাই নিরুদ্দেশ। স্ত্রীর বড় ভাই মোহাম্মদ হোসাইন জানান, আমার ভগ্নিপতির ভাগ্যে কি আছে? একমাত্র নিয়তি ছাড়া আর কেউ জানেন না। শাশুড় আবদুল মান্নান জানান, আমরা থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছি। বোন জিয়াসমিন আক্তার বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। আমার মা-বাবাসহ ভাইবোনরা উৎকন্ঠায় আছি।