বরিশালের বিভিন্ন স্থানে পানিতে ডুবে দু’শিশুসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বরিশালের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃতরা হলেন বরিশাল নগরীর ১০ নন্বর ওয়ার্ড রাজ্জাক স্মৃতি কলোনির (কেডিসি) বাসিন্দা রিক্শাচালক মো: আমির হোসেন (৫০), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দ্বিপাশা গ্রামের অসীম চন্দ্রের ছেলে অপূর্ব চন্দ্র (১২), বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ফরিদপুর গ্রামের হাওলাদার বাড়ির বাসিন্দা মনির হাওলাদারের ছেলে রুহান (৫) ও তার ভাই সোহান হাওলাদারের ছেলে সাইমুন (৪)।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের লিডার জহির রায়হান জানান, বেলা ১১টার দিকে বরিশাল নগরের কেডিসি ঘাট সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে গোসল করতে যান রিকশাচালক আমির হোসেন। এরপর থেকে তার সন্ধান না পেয়ে স্বজনরা ঘাটে এসে তার জামা-কাপড় পড়ে থাকতে দেখে। মৃগীরোগী হওয়ায় তিনি নদীতে নেমে নিখোঁজ হয়েছেন এমন ধারণা পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করেছে।
কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে বলে বরিশাল সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত জামান জানিয়েছেন।
অপরদিকে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি হুমায়ুন কবির জানান, বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার উত্তর রামপুর গ্রামের নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল অপূর্ব। দুপুর আড়াইটার দিকে মৃগীরোগী অপূর্ব পায়রা নদীর শাখা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে নদীতে তল্লাশী করে বিকেল ৪টার দিকে অপূর্বর লাশ উদ্ধার করে।
এছাড়া বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এস এম শফিকুর রহমান ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো: শহীদুল ইসলাম জানান, পশ্চিম ফরিদপুর গ্রামের হাওলাদার বাড়ির দু’ভাই মনির ও সোহানের দু’ছেলে পরিবারের সবার অগোচরে পুকুরে পড়ে ডুবে যায়। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে দুপুরে স্থানীয়রা পুকুরে তল্লাশি করে উভয়ের লাশ উদ্ধার করে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন জানান, সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। কোনো পরিবার অভিযোগ করেনি।