সিরিয়ায় নিহত হয়েছেন ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) এক জেনারেল। সোমবার ভোরে তিনি নিহত হন। কিন্তু কিভাবে তিনি নিহত হলেন- সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সূত্রে আলজাজিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আলিজানির লাশটি ইরানে ফিরিয়ে এনে দাফন করা হবে বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
নিহত ওই জেনারেলের নাম আবুল ফজল আলিজানি। তার মাতৃভূমি ঐতিহাসিক অঞ্চল ইসপাহানে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ওয়েবসাইটে আলিজানিকে ‘শহিদ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সিরিয়ায় দেশটির সরকারের সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে একটি মিশন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এ ছাড়া তাকে ‘অভয়ারণ্যের রক্ষক’ (ডিফেন্ডার অব দ্য স্যাঙ্কচুয়ারি) বলে অভিহিত করা হয়েছে। ইরানি সেনাবাহিনীর যেসব কর্মকর্তা সিরিয়া ও ইরাকে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের ক্ষেত্রে এই শব্দগুচ্ছটি ব্যবহার করা হয়।
ইরান বলছে, সিরিয়া সরকারের আহ্বান দেশটিতে তারা বেশ কিছু সেনা মোতায়েন করেছে এবং শুধু উপদেষ্টা হিসেবেই তাদের সদস্যরা সেখানে কাজ করছেন। এ ছাড়া ইরাকেও ইরানি সেনার উপস্থিতি রয়েছে। তবে এসব সেনার সঠিক সংখ্যা কত সে ব্যাপারে পরিষ্কার কোনো তথ্য নেই।
এ দুই দেশে ইরানি সেনা কিংবা কমান্ডার নিহত হওয়ার খবর প্রায়ই শিরোনাম হয়। আরব নিউজ বলছে, চলতি আগস্ট মাসের শুরুর দিকেই তেহরান ও ইরানের অন্যান্য শহরে আইআরজিসির অন্তত পাঁচজন সদস্যের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। সিরিয়ায় কয়েক বছর আগে তাদের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি তাদের লাশ উদ্ধার করে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হয় বলে ইরানি গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে।
আরব নিউজের তথ্য মতে, এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে আইআরজিসি জানায়, সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় তাদের দুই সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। ওই ঘটনায় তেহরান প্রতিশোধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল।
সম্প্রতি বছরগুলোতে সিরিয়ার অভ্যন্তরে শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। সিরীয় সরকারি অবস্থানের পাশাপাশি ইরান-সমর্থিত বাহিনী ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের ওপরও হামলা চালিয়েছে তারা। তবে ইসরাইল খুব কমই এসব হামলার বিষয়ে মন্তব্য করে। তবে তারা স্বীকার করেছে, ২০১১ সাল থেকে সিরিয়ায় তাদের এ হামলা চলছে।