নোয়াখালীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগ ও অপর দুটি মামলায় বাদী সুধারাম মডেল থানার পুলিশ। তিনটি মামলায় ৫ শতাধিক বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
আসামিদের মধ্যে নোয়াখালী কোর্টের পাঁচজন আইনজীবীও রয়েছেন। আইনজীবীরা হলেন অ্যাডভোকেট আ: রহমান, এ বি এম জাকারিয়া, শাহাদাত হোসেন, ছারওয়ার দিদার ও আমির হোসেন।
উল্লেখ্ , নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে সদর উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিভিন্ন সড়ক দিয়ে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসতে শুরু করে। একটি মিছিল নিয়ে বড় মসজিদের মোড় হয়ে সভাস্থলে আসার সময় বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। কর্মীদের পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে আট রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি করে।
পুলিশের দাবি, বিএনপির সমর্থকরা পুলিশের দিকে ইট পাটকেল ছুঁড়ে এবং তাদের ইটের আঘাতে আটজন পুলিশ আহত হয়। এ সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের ৩৩ জন নেতাকর্মীকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করে। পরে যাচাই বাছাইয়ের পর ২৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে ।
মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতার হওয়া ২৯ জনকে বুধবার বিকেলে নোয়াখালীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সুধারাম মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে দুটি মামলায় পুলিশ ও একটি মামলা একজন ব্যক্তি বাদী হন।