চকরিয়া পৌরসভার থানা রাস্তার মাথায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকানঘর ও বসতবাড়ি জবরদখলের অভিযোগ।
২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড় থানা রাস্তা মাথা এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা।
স্থানীয় মরহুম হাজী সুলতান আহমদের পুত্র জয়নাল আবদীন বলেন, চিরিঙ্গা মৌজার বিএস ২৯৬ নং খতিয়ানের ৪০৪ নং দাগের ০৮ শতক জমি আমার পিতা সুলতান আহমদ মরনে ওয়ারিশ হিসেবে প্রাপ্ত হই।
উক্ত জমিতে বিগত ২০০০ সালে দ্বিতল ভবন নির্মাণ পূর্বক শান্তি পূর্ণভাবে ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় গত ৮ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে নাজেম উদ্দিনগং গায়ের জোরে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সহায়তায় জবরদখল করার পায়তারা করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কক্সবাজার-এ এম.আর ১৪/২০১৮ মামলা দায়ের করি এবং নাজেম উদ্দিন, আব্বাস উদ্দিন ও আব্দু রহিমসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা চেয়ে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করি। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দীর্ঘ শুনানী শেষে গত ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখের আদেশে ২য় পক্ষ নাজেম উদ্দিন গং দের উক্ত জমিতে চুড়ান্তভাবে বারিত (স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা) করেন এবং মামলাটি নিষ্পত্তি করেন।
তিনি আরো বলেন, আদালতের সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা অমান্যকরে ২৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকালে নেজাম উদ্দিন গং দোকানঘর ও বসতবাড়ি জবরদখলের উদ্যোশ্যে দোকানে তালা লাগিয়ে দেয় ও দোকানের সামনে মাটি ফেলে। এতে আমরা বাধা দিলে আমাদের কে মারধর করে। এ ঘটনায় পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে আমাদের কে উদ্ধার করে এবং তাদেরকে মাটি সরিয়ে ফেলতে বলে। তারা মাটি না সরিয়ে উল্টো আমাদেরকে হাঁকা বকা করতে থাকে।
জয়নাল আবেদীনের বড় ভাই আবু ছিদ্দিকের পুত্র জসিম উদ্দিন বলেন, অবৈধ দখলে বাঁধা দেওয়ায় নাজেম উদ্দিনগং বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের রান্নাঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের দমকলবাহিনী এসে আগুন নিভিয়ে দেওয়ায় বড় ধরণের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাই।
প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সুলতান আহমদের পুত্র নাজেম উদ্দিন বলেন, এগুলো আমার বাবা সুলতান আহমদের সম্পত্তি। আমি, আমার বোন ইয়াছমিন আক্তার ও আমার মা আছিয়া খাতুন এর প্রাপ্ত সম্পত্তি না দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমার অপর ভাই জয়নাল আবদীন সম্পত্তি গুলো ভোগকরে আসছেন। পৈতৃক সম্পত্তি থেকে আমাদের প্রাপ্ত ভাগ বুঝিয়ে নেওয়ার জন্য মাটি ফেলেছি। ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।