আন্তর্জাতিক ইসলামিক সংস্থা (ওআইসি) বলেছে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত কর্তৃক মিয়ানমারের আপত্তিকে খারিজ করে দেয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হবে।
মুসলিম বিশ্বের সমন্বিত স্বরের সংগঠনটি বলছে, আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের ওই রায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ক্রমাগত কষ্ট লাঘবের সমাধানে আরো বেশি অবদান রাখবে। ওআইসির মহাসচিব রোহিঙ্গাদের দুর্দিনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
সংগঠনটির মহাসচিব হোসেইন ইব্রাহিম ত্বহা শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
এক কর্মকর্তা বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন শনিবার ওআইসি মহাসচিবের সাথে বৈঠক করবেন এবং রাজধানীর একটি হোটেলে তার সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটির উত্তরাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বর্বর অভিযান চালায়। ওই সময় তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে লাখ লাখ মানুষকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে।
ওআইসি বলছে, পাঁচ বছর পরও রাখাইনের রোহিঙ্গারা স্বাধীনভাবে চলাফেরা, মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুযোগের ঘাটতি রয়েছে।
আরো বলা হয়, ‘এই বর্ষপূর্তি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য জবাবদিহিতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’
বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে বিগত পাঁচ বছর ধরে বসবাসকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রয়োজনীয় খাদ্য, নিরাপত্তা, আতিথেয়তা ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার প্রচেষ্টার জন্য বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানায় ওআইসি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সমর্থন ও ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকা প্রশংসাযোগ্য। ওআইসির মহাসচিব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি সহযোগিতার দৃঢ় আশ্বাস পুর্নব্যক্ত করেন।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের সাথে দৃঢ়ভাবে দুর্দশাগ্রস্থতের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার প্রচেষ্ঠাকে দ্বিগুণ করার আহ্বান জানান। এর মধ্যে- তাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব প্রদান, তাদের পক্ষে নিরাপত্তার শর্ত নিশ্চিত, ত্রাণকার্যক্রম, সম্মান, স্থায়ীভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এবং আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের তাদের নিজভূমিতে ফেরত নেয়া।
সূত্র : ইউএনবি