আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি মিছিল সমাবেশ ডাকায় কক্সবাজারের পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শনিবার রাত ১২টার দিকে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূর্বিতা চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইউএনও পূর্বিতা চাকমা বলেন, রোববার সকালে পেকুয়া বাজার ও চৌমুহনী এলাকায় বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করার ঘোষণা দেয়। এই দুটি স্থানে আওয়ামী লীগও বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়। এতে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পেকুয়া সদরের স্টেডিয়াম থেকে চৌমুহনী হয়ে পেকুয়া বাজার ও পরিষদ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
ইউএনও বলেন, কেউ ১৪৪ ধারা ভাঙার চেষ্টা করলে প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
স্থানীয় বিএনপি সূত্র বলছে, কেন্দ্রের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের প্রস্তুতি ছিল পেকুয়া উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের। পেকুয়া বাজার ও চৌমুহনী এলাকায় জমায়েতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। রোববার সকাল থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মিছিলসহকারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদের বাড়িতে জমায়েত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কামরান জাদিদ মুকুট বলেন, ‘১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন পর্যন্ত আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ঠিক আছে। যদি ১৪৪ ধারা জারি হয়, তাহলে কর্মসূচি ঠিক থাকবে কি থাকবে না, সেটা দলীয় নেতারা বসে ঠিক করবেন।’
এদিকে রাত ১২টার দিকে ওই এলাকায় মাইকিং করে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি প্রচার করা হয়। এতে বলা হয়, এত দ্বারা জনসাধারণকে জানানো যাচ্ছে পেকুয়া উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রোববার সকাল ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত পেকুয়া স্টেডিয়াম থেকে চৌমুহনী হয়ে পেকুয়া বাজারসংলগ্ন এলাকায় সব রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের ওপর ১৪৪ ধারা জারি করা হলো।
পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টা করার প্রতিবাদে রোববার সকালে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। তবে আওয়ামী লীগ প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলবে বলে জানান তিনি।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরহাদ আলী বলেন, ১৪৪ ধারা যাতে কেউ ভাঙতে না পারে, সে জন্য পুলিশ সতর্ক থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।