• রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:০৮ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
প্রেমের ফাঁদে ফেলে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই রুবির পেশা সিংড়ার আয়েশ মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর সমাবেশ খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে হলে আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে : শেখ হাসিনা আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী-ছেলের লাশ উদ্ধার মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন : ভারতপন্থী প্রার্থীর পরাজয় ঈদগাঁওতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে কবি মুহম্মদ নুরুল হুদার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে হুদা মেলা ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত ৪ বাক্কুম ব্রীজের ঢালাই ঝরে ফুঁটো; যানচলাচলে দূর্ঘটনার আংশকা! ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচ: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়

পেকুয়ায় মাটি কুঁড়ে বিল্ডিং বাড়িটির ধস ঠেকাতে গেল পুলিশ

পেকুয়া প্রতিনিধি / ২২০ Time View
আপডেট : শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২

কক্সবাজারের পেকুয়ায় পুলিশ গিয়ে বিল্ডিং বাড়িটির ধস ঠেকালো। একটি পাকা দালান বাড়ি ধসে দিতে শত্রæপক্ষ বিল্ডিংটির গোড়ায় মাটি খনন করছিল। বর্বর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রতিপক্ষ সদ্য নির্মিত একতলা ভবনের বিল্ডিং বাড়িটি ধসে দিতে সেখানে মাটি কুঁড়ে এর স্থায়িত্ব ধ্বংসের কাজে লিপ্ত থাকে। এতে করে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। সংঘর্ষেরও শংকা তৈরী হয়। এ সময় পেকুয়ার কর্মরত কয়েকজন সংবাদকর্মী এর স্বচিত্র প্রতিবেদন তৈরী করতে সরেজমিনে যান। সেখানে দু’পক্ষ মুখোমুখি হয়েছে। আইন শৃংখলার অবনতি ও দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরী হয়। শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে দু’পক্ষের মারপিট থামাতে সংবাদকর্মীরা উত্তেজনার বিষয়টি পেকুয়া থানার ওসিকে মুঠোফোনে জানান। পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ফরহাদ আলী দ্রæত সময়ে সেখানে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স পাঠান। পুলিশ গিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ ও উত্তেজনা প্রশমিত করতে সক্ষম হন। এমনকি বিল্ডিংয়ের গোঁড়া থেকে মাটি খনন কাজও পুলিশ বন্ধ করে দেয়। ২৭ আগষ্ট (শনিবার) বিকেল ২ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জালিয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার এস,আই জসিম উদ্দিন বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে আমি সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সসহ জালিয়াখালীতে গিয়েছিলাম। সেখানে একটি পক্ষ মাটি খনন করছিল। আসলে এটি নীতিগতভাবে মেনে নেওয়ার মত নয়। পার্শ্বে পাকা দালানের নীচের অংশে তারা মাটি কুঁড়ে ফেলছিল। আমার মনে হয়েছে এটি আসলে প্রতিপক্ষকে ক্ষতিসাধন করতে ওই পক্ষের এমন আচরণ আমি নিষেধ করেছি। উভয়পক্ষকে থানায় আসতে বলেছি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জালিয়াখালীতে মৃত তোতা মিয়ার পুত্র কামাল হোসেন নিজ বসতভিটায় সম্প্রতি একটি পাকা দালান তৈরী করেন। ৪ কক্ষ বিশিষ্ট ওই দালানটিতে ছাঁদ তৈরী করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতিবেশী জামাল উদ্দিনের বসতবাড়িও সেখানে। কামাল হোসেন ও জামাল উদ্দিনের বসতবাড়ি লাগোয়া। জায়গাটি ফতেহ আলী মাতবর ওয়াকফ ষ্টেটের দালিলিক স্বত্ত। তবে রায়তী স্বত্ত হিসেবে তারা উভয়পক্ষ বসতবাড়ি নির্মাণ করে যুগ যুগ ধরে বসবাস করছিলেন। গত ৬ মাস আগে কামাল হোসেন তার ভিটায় দালান ঘর তৈরী করে। এ দিকে জামাল উদ্দিনের পুত্র জয়নাল আবেদীন, রাশেদসহ একটি চক্র কামাল হোসেনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা চাওয়া হয়েছে। তারা মূলত চাঁদার মত দাবী নিয়ে কামাল হোসেন গংদের কাছ থেকে টাকা চান। এতে কামাল হোসেন সম্মত হননি। এর জের ধরে শনিবার সকাল থেকে জামাল উদ্দিনের ছেলে জয়নাল, রাশেদ, তার বোন রিনা, মৃত লেদু মিয়ার পুত্র মনির উদ্দিন, মনির উদ্দিনের পুত্র শওকতসহ ৫/৬ জনের দুবৃর্ত্তরা কুদাল নিয়ে মাটি খনন করতে থাকে। এ সময় কামাল হোসেনের বিল্ডিংয়ের মূল ফাউন্ডেশন সিসি বøকের নিকট থেকে তারা গর্ত করে মাটি সরিয়ে ফেলে। বাড়ির দক্ষিণ পাশে প্রায় ৪০ ফুট মতো দৈর্ঘ্য গভীর নালা করে ফেলে। এতে করে বিল্ডিং বাড়িটি বিলীন ও ধসে যাওয়ার মতো পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। এ ব্যাপারে বিল্ডিংয়ের নির্মাণকাজে জড়িত থাকা নির্মাণ শ্রমিক কফিল উদ্দিন জানান, এ বাড়িটি আমি করেছি। বেইজ করার সময় জামাল উদ্দিনের পরিবার এখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছিল। সে সময় রাশেদ, জয়নাল আমার সঙ্গে কাজ করেছে। তারা এখন জায়গা নিয়ে আবার আপত্তিও তোলছে। স্থানীয় জসিম উদ্দিন জানান, এটি মূলত চাঁদার জন্য করছে তারা। কামাল হোসেন ও তার ছেলেরা শান্ত প্রকৃতির। আর জামাল উদ্দিনে ছেলেরা উগ্র ও মাস্তান প্রকৃতির। ছেলে নুরুল আবছার জানান, তারা আমার বাবার কাছ থেকে প্রথমে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। পরবর্তীতে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করছে। এখন ওই টাকার জন্য এমন নাশকতার মতো পরিকল্পনা। আবু তাহেরের স্ত্রী ফাতেমা বলেন, মানুষ কি রকম হিংস্র হয় আপনারা দেখে যান। অত্যাচার, জুলুমে আমরা এখানে বসবাস করার মতো অবকাশ নেই। পেকুয়া থানার ওসি ফরহাদ আলী জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। আমার অফিসার গিয়েছিল। তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানবো। এরপর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি