মেয়াদ উত্তীর্ণের দীর্ঘ ৩২ মাস পর পেকুয়া উপজেলার ৫৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এস.এম.সি গঠনের অভিয়োগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে অভিভাবক ও সচেতন মহলে নানা ধরনের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তথ্য সুত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৯ ইং সালের ডিসেম্বর মাসের পেকুয়া উপজেলার ৫৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহের ৩ বছর মেয়াদের পরিচালনা কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। তারই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রানালয় থেকে সংশোধিত আকারে যথারীতি প্রজ্ঞাপন জারি হয় । কিন্তু প্রায় ৩ বছর পর্যন্ত তিনি তা আমলে নেননি। হঠাৎ করে বিগত ১১ আগষ্ট ২২ইং তারিখের প্রধান শিক্ষক গণের সমন্বয় সভায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার শোকাবহ আগষ্ট মাসে কমিটি গঠনের জন্য পুনঃ তফশীল ঘোষনা করেন। শোকাবহ আগষ্ট মাসে রাজাখালী জি.সি সরকারী প্রাথামিক বিদ্যালয়, টৈটং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১২ নং ফাঁসিয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়ারেচীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বেশ কিছু বিদ্যালয়ে শোকাবহ আগষ্ট মাসে শিক্ষা অফিসার এস.এম.সি নির্বাচন সম্পন্ন করেন। কিন্তু প্রশ্ন হল আর মাত্র ৩ মাস পর প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে বরাবরের মত প্রজ্ঞাপন জারি হইবে, তখন কি হবে? ইতি মধ্যে মহামান্য হাইকোর্টের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎসাহী ক্যাটাগরীর একজন পুরুষ, একজন মহিলা অবৈধ ঘোষনা করেন। মহমান্য হাইকোর্টের রায় ডিগ্রী উপেক্ষা করে বিদ্যুৎসাহী ক্যাটাগরী সংযুক্ত করে এস. এম সি গঠন কতটুকু বৈধ তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। চলতি বছর ২০২২ইং বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দের ক্ষুদ্র মেরামত ২লক্ষ, এস.ই এম ৭০ হাজার, রুটিন মেইনটেইন্স ৪০হাজার ওয়াশ বøক ১০ হাজার, প্রাক প্রাথমিক ১০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৩লক্ষ ২০ হাজার টাকা মাত্র পুরাতন মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে ভাগ বাটোয়ারা করে নির্বাচনের তফশীল ঘোষনা করেন। এর পূর্বেও ২০২০ ইং সালের ও ২০২২ইং সালের বরাদ্দ টাকা মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে ভাগ বাটোয়ারা করা হয় শিক্ষা অফিসারের কাছে জানতে চাইলে কোভিড/১৯ এর কারণে তিনি নির্বাচন করতে পারেন নাই বলে জানান। অথচ করোনার জন্য বিদ্যালয় বন্ধ হয় ১৭ মার্চ ২০২০ইং থেকে ০১মার্চ ২০২২ইং পর্যন্ত এবং এস.এম.সি নির্বাচন বন্ধ রাখার জন্য প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি। বর্তমানে পড়ালেখার মোক্ষম সময়ে এডহক কমিটি গঠন না করে পুর্ণাঙ্গ কমিটির পুনঃ তফশীল ঘোষণায় কোমল মতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চরম বিঘœ ঘটছে। এর আগে বিগত ২০১৯ ইং মুজিববর্ষ উদযাপন ¯িøপ, রুটিন মেইনটেইনস, ওয়াশ বøক, প্রাক-প্রাথমিকসহ বরাদ্ধের ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা মাত্র। অধিকাংশ বিদ্যালয়ে মুজিব কর্ণার, শেখ রাসেল কর্ণার, মুক্তিযোদ্ধা কর্ণার এবং বিদ্যালয় সজ্জিতকরণ না করে ভাগ ভাটোয়ারা করে আত্মসাত করে। বর্তমানে পুরাতন কমিটির দুই মেয়াদের কাছাকাছি সময় পর্যন্ত বহাল রয়েছে। তাদের সাথে যোগসাজসে সমুদয় টাকা আত্মসাত করারা পর শোকাবহ আগষ্ট মাসে নির্বাচনের পুন:তফশিল ঘোষণা করেন। এর আগেও ৮-০২-২২ ইং তারিখে তফশিল ঘোষনা করে সকল ক্যাটাগরী সম্পন্ন করে হঠাৎ করে নির্বাচন বন্ধ করে দেন। ২০২০ ইং, ২০২১ ইং, ২০২২ ইং ইং বরাদ্ধের টাকা আত্মসাত করার নিমিত্তে এস,এম,সি গঠনের কালক্ষেপন করেছে বলে প্রতীয়মান হয়। এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার ছালামত উল্লাহ জানান, বর্তমান যে সব বিদ্যালয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে সে গুলো ৩ বছর মেয়াদের। করোনার কারণে বিদ্যালয়গুলিতে কমিটি গঠনে বিলম্ব হয়েছে।