কক্সবাজারের পেকুয়ায় গৃহবধূকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। কলহের জের ধরে স্বামী স্ত্রীর বনিবনা চলছিল। স্ত্রীকে পিটিয়ে ১ মাস আগে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর জের ধরে নিজের বিবাহিত স্ত্রীকে ভাড়াটে দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার (২৭ আগষ্ট) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের সুন্দরীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জখমী গৃহবধূকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত মহিলার নাম নুরুন্নেছা নয়ন (৩৪)। তিনি রাজাখালী ইউনিয়নের সুন্দরীপাড়ার সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে মো: সেলিমের স্ত্রী নুরুন্নেছা নয়ন বকশিয়াঘোনা থেকে সুন্দরীপাড়ায় শ্বাশুড় বাড়ির দিকে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বকশিয়াঘোনা মনছুরের দোকানের পিছনে চলাচল রাস্তার মধ্যে তাকে উৎপেতে থাকা দুবৃর্ত্তরা ধারালো দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে জখম করে। নুরুন্নেছা নয়ন জানান, ২০০৬ সালের দিকে তার বিয়ে হয়। স্বামী সেলিমের সাথে বনিবনা চলছিল। স্বামী তাকে ২৬ দিন আগে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের দেয়। সেলিম পরকীয়ায় লিপ্ত রয়েছে। এতে করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক দ্বন্ধ প্রকট আকার ধারণ করেছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে আমি আমার ছেলের জন্ম নিবন্ধন কপির জন্য স্বামীর বাড়িতে যাচ্ছিলাম। পথে আমাকে হামলা করা হয়। এ হামলা আমার স্বামীর ইশারায় হয়েছে। তিনি ভাড়াটে মাস্তান দিয়ে আমাকে প্রাণনাশ চেষ্টা চালায়। সুন্দরীপাড়ার মৃত আবু ছৈয়দের পুত্র বাদশাহ, শাহাদাতের পুত্র মোবারক ও আবদু রহমানসহ ৪/৫ জন মিলে আমাকে হামলা করে। নয়নের মা রাবেয়া বসরী জানান, আমার মেয়ের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। ছেলে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র মো: আবদুল মুজাহিদ বলেন, মায়ের মাথায় আঘাত আছে। মাকে মেরে ফেলানোর জন্য হামলা চালানো হয়েছে। নয়নের চাচা ৬ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ছলিম উল্লাহ বলেন, নয়ন আমার ভাতিজী। তার মাথায় আঘাত আছে। পেকুয়া থানার ওসি ফরহাদ আলী জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।