চিকিৎসা ক্ষেত্রে একের পর এক সফলতা দেখিয়ে যাচ্ছেন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ইনর্চাজ ডাঃ শোভন দত্ত। প্রায় ঝুঁকিপূর্ণ রোগীকে অপারেশন ছাড়া সফলতা দেখিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এমন আরেকটি মহৎ উদ্যোগ নিয়ে বিনা অপারেশনে ঝঁকিমুক্ত করলেন অবুঝ দুই শিশুর জীবন। এখবরটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
দায়িত্বগ্রহণ করার পর থেকে তাঁর চিকিৎসা সেবার সুনাম কক্সবাজার জেলাসহ পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।
এবিষয়ে ডাঃ শোভন দত্ত ২৯ আগস্ট (সোমবার) সন্ধ্যায় তাঁর নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে সর্তকতা মূলক দুইটি লেখা পোস্ট করেছেন। যেগুলো মূহুর্তের মধ্য ভাইরাল হয়ে যায়। নিন্মে তাঁর দেওয়া পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলো-
৫ বছর ৪ মাসের তাবাসসুম। তার বাড়ি লামা। তাবাসসুমের মা-বাবা বুঝতে পারলেন,বাচ্চার নাক দিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং শ্বাস নিতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। পরে স্থানীয় এক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে চিকিৎসক বুঝতে পারেন যে, নাকের বেশ ভিতরে কিছু একটা আটকে আছে। এটা ছিল একটা ট্যাবলেট ব্যাটারি। সচরাচর কোন খেলনা বা ছোট লেজার টর্চ এসব যন্ত্রে থাকে।
যাদের ঘরে ছোট বাচ্চা আছে, সেসব মা-বাবাদের সতর্ক করাই হলো আমার এসব প্রচারণার মূল উদ্দেশ্য। আপনারা যেকোন ছোট জিনিস ( পিন, পেরেক, পুঁতি, পয়সা/ কয়েন এগুলো কমন) বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখবেন।
মাত্র ৮ মাসের বাচ্চা খাদিজা। পরিবারের সদস্যদের অসতর্কতার কারণে কাপড় শুকানোর ক্লিপ মুখে দিয়েছিল এবং সেটি গলায় আটকে যায়।
বিনা ব্যথায়, নিরাপদে, খুবই অল্প সময়ে (সবমিলিয়ে ১-২মিনিট সর্বোচ্চ) সেটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এজন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জানাই।
ডা: শোভন দত্ত প্রতিবেদককে বলেন, মানবসেবা মহৎ গুণ। তাই প্রতিমুহুর্তে মানবসেবায় এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। এছাড়াও অসহায়, গরীব, অর্থের অভাবে যারা চিকিৎসা নিতে পারে না তাদের পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, ইতিপূর্বে বহুজনকে বিনা অপারেশনে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সফল হয়েছি ভবিষ্যতেও এইধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে যাব।