চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নে প্রেমিক-প্রেমিকা পালিয়ে যাওয়া ঘটনাকে গত ২৯জুন মেয়ের মা-নাহিদা আরেফীন (৩৭) চুক্তি ভঙ্গ করে সাজানো একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন,যার মামলা নং-জিআর-৩৪২/২২ইং।
বুধবার (৩০আগষ্ট) সকালে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দাঁড়িয়ে মাযের দায়ের করা সাজানো মামলার বিপরীতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন,২০০৩ এর ২২ধারা জবানবন্দি দেন মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া।
মামলার বাদী-নাহিদা আরেফীন (৩৭) উপজেলার খুটাখালী ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়ার প্রবাসী নুর আহমদের স্ত্রী।
মামলার আসামীরা হলেন,একই ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মধ্যম মেদাকচ্ছপিয়া এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে ফরহাদুল ইসলাম তুষার(২৫) ও তার স্ত্রী রাজিয়া সোলতানা। মামলার ২নং আসামী রাজিয়া সোলতানা জানান,আমি খুটাখালী ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ ওয়ার্ডের দুই বারের নির্বাচিত সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা হই।
আদালতে দেওয়ায় মেয়ে জান্নাতুল মাওয়ার জবানবন্দি হুবুহু নিন্মে তুলে ধরা হলো।
আমি আদালতে হাজির হইয়া আপনার সামনে জবানবন্দি দিচ্ছি যে,গত ২৬জুন রাত সাড়ে ১২টার সময় আমি ঘরের কাউকে না জানিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে খুটাখালী বাজারে এসে ১নং আসামীকে কল করে ফরহাদুল ইসলাম তুষারকে ডেকে এনে,তার সাথে ককসবাজার চলে যাই।সেখানে আসামীর সাথে কিছুদিন আবাসিক হোটেলে ছিলাম।১নং আসামীর সাথে আমার বিয়ে হয়।তবে কাবিন হয়নি।
আসামীর সাথে আমি স্বামী/স্ত্রীর মতরবসবাস করেছি।বর্তমানে আমি ২মাসের অন্তঃসত্ত্বা।এই আমার জবানবন্দি,আমি মায়ের সাথে যাবো।
এদিকে ছেলের মা রাজিয়া সোলতানা(সংরক্ষিত এমইউপি) জানায়,ছেলে-মেয়েরা গোপনে নিজেদের মধ্য সম্পর্ক গড়ে তুলেন।পরে অপ্রাপ্ত মেয়েটি অন্যত্রে বিয়ে দিতে চাই মেয়ের পরিবার।এমতাবস্থায় গত ১০জুন ছেলে-মেয়ে দুইজনই পালিয়ে যায়।তিনদিনের মাথায় দুইজনকে খোঁজে বাড়ীতে নিয়ে আসি।পরে গত ১৪জুন সালিশী বৈঠকে তাদের বিয়ের ঠিক ফদ্দ করি।চুক্তি থাকে যে,মেয়ের বয়স পূর্ণ হলো চুক্তিমতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হবে।পরে ছেলে-মেয়ে দু’জনই নিজ ঘরে থাকবে বলে চলে যায়।হঠাৎ গত ২৬জুন তারা আবারো দ্বিতীয় বারের মত পালিয়ে যায়।একারণে আমাদের নামে অপহরণ মামলা।এরপরে খোঁজতে-খোঁজতে তাদের ঠিকানা পেয়ে আমি নিজেই ওখানে গিয়ে নিয়ে এসেছি।এরপর গত ৩০আগষ্ট মেয়েটি আদালতে হাজির করি।আদালত মেয়েটি জবানবন্দি নেন।বর্তমানে তারা দুইজন নিজ বাড়ীতে থাকবে।