• বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
আমতলীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ২ বিআরটিএ ও ডামের উদ্যোগে ১৮০ গণপরিবহণ চালককে প্রশিক্ষণ প্রদান সিংড়ায় পুর্ব শত্রুতার জেরে বাড়িতে হামলা গাইবান্ধায় সড়ক উন্নয়ন কাজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন উদ্বোধন করেন হুইপ গিনি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উদাখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে দ্বিতল একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন এমপি রিপন গোবিন্দগঞ্জ বিনামূল্যে পাটবীজ বিতরণ ভোট না দেয়ায় জেলেদের চাল দেয়নি ইউপি সদস্য আমতলী গাজীপুর বন্দর বাজারের স্টলে গোয়ালঘর! পেকুয়ায় ঋনদান সমিতির ৭হাজার সদস্যের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিলি চকরিয়ায় জায়গা দখলের চেষ্টায় দুর্বৃত্তের হামলায় রিক্সা চালক ও নারীসহ আহত-৩

কোটচাঁদপুরে বিদেশী ফল অ্যাভোকাডোর চাষ, লাভবান হয়েছেন চাষী

ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি / ১০৭ Time View
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মানবদেহের জন্য অত্যান্ত উপকারী ফল অ্যাভোকাডো এখন ঝিনাইহদের কোটচাঁদপুর চাষ হচ্ছে। উপজেলার কাগমারি গ্রামের স্কুল শিক্ষক হারুন অর রশিদ মুছা বানিজ্যিক ভিত্তিতে আড়াই’শ অ্যাভোকাডো গাছ লাগিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। গাছগুলোতে ব্যাপক হারে ফল এসেছে। ক’দিন পরই এই ফল বিক্রি করা যাবে। ব্যাপক পুষ্টিগুণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ফলের চাষ বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও অ্যাভোকাডোর বাণিজ্যিক চাষ বাংলাদেশে একেবারেই নতুন।

হারুন অর রশিদ মুছার চাষ দেখে এখন আশপাশের কৃষকেরাও ঝুঁকে পড়ছেন অ্যাভোকাডো চাষে। হারুন অর রশিদ মুছা কাগমারী গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। তিনি স্থানীয় কাগমারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় বিষয়ের শিক্ষক। মুছা জানান, তার পিতা ছিলেন গ্রামের বড় কৃষক। ছোট বেলা থেকেই তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ লাগাতেন। গ্রামের স্কুলে চাকরি করার সুবাদে কৃষি কাজে বেশ সময় দিতে পারেন তিনি। পৈত্রিক সূত্রে ২০ বিঘা জমি পেয়েছেন। এসব জমিতে ফলের চাষ করে কমপক্ষে আরও ১৫ বিঘা জমি কিনেছেন। ২০০৫ সালে তিনি ঝিনাইদহ জেলায় প্রথম বাউকুল চাষ করে অনেক লাভ করেন। ওই বছর তিনি মোট ছয় বিঘা জমিতে বাউকুলের চাষ করে ২০ লাখ টাকার কুল বিক্রি করেন। তিনি আরো বলেন, তবে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণার সাবেক মহাপরিচালক এনামুল হকের সহযোগিতায় বিদেশি ব্যয়বহুল অ্যাভোকাডোর চারা এনে রোপণ করেন।

গত দুই বছর ধরে তার গাছে অ্যাভোকাডো ধরছে। এখন তার বাগানে প্রায় ২৫০ অ্যাভোকাডো গাছ রয়েছে। যার বেশিরভাগেই ফল এসেছে। এবার তিনি প্রতি কেজি ৫০০ টাকা দরে ফল বিক্রি করছেন। যা বিদেশে মিশন থেকে ফিরে আসা সেনা সদস্যরা ছাড়াও ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলার ফল ব্যবসায়ীরা অনলাইনে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। নিজেদের বাড়ির সঙ্গে লাগোয়া প্রায় পাঁচ বিঘা জমিতে অ্যাভোকাডো ছাড়াও সাদা ড্রাগন, পারসিমন, লংগান (কাঠলিচু), সাদা জাম, গোলাপ জাম, মালবেরি, ব্লাকবেরি, সুইটলেমন, প্যালেস্টাইন বাতাবি লেবু, চায়না বাতাবি লেবু, করোসল, মিশরীয় কমলা, দার্জিলিং লেবু, ব্লাক গেন্ডারিসহ কমপক্ষে ২৫ ধরনের বিদেশি পুষ্টিকর ফলের চাষ রয়েছে। মুছা জানান, বাগানের একেকটি অ্যাভোকাডোর চারা বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা করে। ওই বাগানের শ্রমিক গোলাম রসুল বলেন, অনেক দিন ধরে আটজন শ্রমিক বাগানে কাজ করছি। মুছা ভাইয়ের মতো অনেকে যদি এ ধরনের অ্যাভোকাডো বাগান করে, তাহলে এলাকার অনেক বেকার যুবক নিজের পায়ে দাড়াতে পারবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি