কক্সবাজারের পেকুয়ায় মর্তুজা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৪ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের দশেরঘোনা এলাকায় ঘটনা ঘটে। নিহত মর্তুজা বেগম একই এলাকার আবদু শুক্কুরের স্ত্রী। পেকুয়া থানা পুলিশ সকালে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ফরহাদ আলী বলেন,মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিহত মর্তুজা বেগমের ভাই বাদশাহর দাবি, আবদু শুক্কুর নিয়মিত মাদক সেবন করতো ৷ এছাড়া সে একাধিক মেয়ের সাথে পরকীয়ায় জড়িত। এ নিয়ে শুক্কুরের সাথে প্রায় সময় ঝগড়া হতো মর্তুজার। তাদের সংসারে ঝামেলা লেগেই থাকতো। মেয়েকে প্রায় সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। স্বামী-স্ত্রীর কলহ নিয়ে একাধিকবার সালিশ-বৈঠকও হয়েছে। আমার বোন এসব ব্যাপারে প্রতিবাদ করায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,রাতে শুক্কর মুঠোফোনে আমাকে বোনকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ফোন করে। তাকে পিটিয়ে হত্যা করার হুমকিও দেন। সকালে বোনের বাড়িতে এসে দেখি মর্তুজার নিথর দেহ মাটিতে পড়ে আছে। বোনকে হত্যা করে শুক্কর পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা বলেন, শুক্কুর একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। দিনমজুরি করে যা পায় তা দিয়ে মাদক সেবন করে। এ নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে কলহ লেগেই থাকত। শনিবার রাতে দু’জনের ঝগড়া হয়। রবিবার সকালে পুলিশ শুক্কুরের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তাদের সংসারে এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।
মরদেহ উদ্ধারকারী এসআই খায়ের বলেন,লাশের শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ইউপি সদস্য মো.বাদশাহ মিয়া বলেন,ছেলেটা ভালো না। সে একজন মাদকসেবী। স্বামী স্ত্রী ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিলনা। সকালে মর্তুজার মরদেহ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার গায়ে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে।