• সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
লামা ফাঁসিয়াখালীতে মসজিদের নাম দিয়ে ব্যবসায়ীর পৈতৃক সম্পত্তি দখলের পায়তারা দর্শনায় মাদক বিরোধী অভিযানে ৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার মারছা গাড়ীর ধাক্কায় লাইফ সাপোর্টে কলেজ ছাত্রী রাকিব জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত মহেশপুরে স্ত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ভ্যানচালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা জুলি ও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা পেকুয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী, ছেলেসহ আহত-২ চকরিয়ায় শিশু হত্যার প্রধান আসামী সুমাকে গ্রেফতার করেছেন র‍্যাব-১৫ চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানা আকষ্মিক পরিদর্শন এবং আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করেন পুলিশ সুপার ৬০ বছর বয়সে ফের বিয়ে করলেন আশিষ বিদ্যার্থী

দুই ছক্কায় ম্যাচ, নাসিম মনে করিয়ে দিলেন মিয়াঁদাদের কথা

স্পোর্ট ডেস্ক / ১১৫ Time View
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

গ্যালারিতে তখন আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকার সাথে সমান তালে পাল্লা দিচ্ছে ভারতের জাতীয় পতাকা। চক চক করছে ভারতীয় সমর্থকদের চোখ-মুখ। পাকিস্তানের হার মানেই টিকে থাকবে ভারত। অন্য দিকে, পাকিস্তানের সমর্থকদের মুখ থমথমে। শেষ দু’ওভারে চার উইকেট হারিয়ে সহজ ম্যাচ কঠিন করে ফেলেছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা।

 

শেষ ওভারে বাবর আজমদের দরকার ১১ রান। উইকেটে স্বীকৃত কোনো ব্যাটার নেই। পড়ে গেছে ৯ উইকেট। এক বলেই খেলা শেষ করে দিতে পারেন রক্তের স্বাদ পেয়ে যাওয়া আফগান বোলাররা। কিন্তু নাসিম শাহ বুঝিয়ে দিলেন তার স্নায়ু ইস্পাত কঠিন। ইনিংসের শেয ওভারের প্রথম বল উড়িয়ে দিলেন সোজা উইকেটের উপর দিয়ে। ছয়। উচ্ছ্বাস ছড়াল পাকিস্তান সমর্থকদের মধ্যে। আফগান বোলার ফজলহক ফারুকির দ্বিতীয় বলও উড়ে গেল গ্যালারিতে। আনন্দে দৌড়তে শুরু করলেন নাসিম। উল্লাস ছড়িয়ে পড়ল পাক সমর্থকদের মধ্যে। এশিয়া কাপের ফাইনালে চলে গেল পাকিস্তান। পাকিস্তান সাজঘরে ফিরে এল শারজায় শেষ বলে জাভেদ মিয়াঁদাদের বিখ্যাত ছক্কার আমেজ।

গ্যালারির রং বদলে গেল। পাকিস্তানের পতাকার দাপটে গুটিয়ে গেল বাকি সব। পাহাড় প্রমাণ চাপের মুখে কিভাবে পারলেন জয় ছিনিয়ে নিতে? দেশকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতিয়ে স্বাভাবিক নাসিম। সাবলীল দু’বলের ঝোড়ো ইনিংসের মতোই। পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার বললেন, ‘নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করি মন দিয়ে। এমন ছয় মাঝে মাঝেই মারি অনুশীলনের সময়। বিশ্বাস ছিল পারব। বেশি কিছু ভাবার সুযোগ ছিল না। অনুশীলনে যেটা করি, ঠিক সেটাই করার চেষ্টা করেছি। দলকে জেতাতে পেরে ভাল লাগছে।’

ব্যাট করতে নামার সময় কি কোনো পরামর্শ পেয়েছিলেন সতীর্থদের থেকে? নাসিম জানিয়েছেন, ‘চাপ নিতে বারন করেছিল সবাই। ফলের কথা না ভেবে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করতে বলা হয়েছিল। সেটাই করেছি। তাতেই ফল মিলেছে।’

প্রবল চাপের মুখে তার ম্যাচ জেতানো বিশাল দু’টি ছয় নিশ্চিতভাবেই অনেক দিন মনে রাখবেন পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থকরা। মনে রাখবেন ভারত এবং আফগানিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীরাও। এই ম্যাচ মনে থাকবে নাসিমেরও। ম্যাচের পর নিজেই বলেছেন সে কথা। তার প্রশংসা করেছেন পাক অধিনায়ক বাবর আজমও। ম্যাচের পর তিনি মেনে নিয়েছেন, সাজঘরে সকলেই ভীষণ চাপের মধ্যে ছিলেন।

বাবর বলেছেন, ‘সাজঘরে খুব চাপের মধ্যে ছিলাম আমরা। ভালো জুটি তৈরি করতে পারিনি আমরা। শেষ কয়েকটা ম্যাচেও এই সমস্যা হয়েছে। কিন্তু নাসিম যেভাবে ম্যাচ শেষ করল, এক কথায় দুর্দান্ত। ওর ছয় দেখে শারজায় জাভেদ মিয়াঁদাদের সেই বিখ্যাত ছক্কার কথা মনে পড়ছে।’

সহজ লক্ষ্য পেয়েও কেন এমন চাপ তৈরি হলো? বাবর কৃতিত্ব দিয়েছেন আফগান বোলারদের। তিনি বলেছেন, ‘রশিদ খান, মোহাম্মদ নবিরা দারুণ বল করেছে। বিশ্বের সেরা স্পিনাররা আফগানিস্তান দলে রয়েছে। ওদের বিরুদ্ধে শট খেলা সব সময়ই ঝুঁকির। আমাদের বোলারদেরও কৃতিত্ব দিতে চাই। ওরা আগ্রাসী মেজাজে শুরু করার পরেও ১৩০ রানের মধ্যে আটকে রাখা গেছে। তবে সব থেকে বেশি কৃতিত্ব নাসিমেরই। ছন্দটা ধরে রাখতে হবে আমাদের। যে ভুলগুলো এই ম্যাচে হয়েছে, সেগুলো আর করা চলবে না। পরের ম্যাচটাও জিততে চাই। ওটা আরেকটা নতুন ম্যাচ। সেভাবেই খেলব আমরা।’

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি