চকরিয়া চিরিংগা সবুজবাগ আবাসিক এলাকার ঐতিহ্য রক্ষার্থে এবং নানা অপরাধ প্রতিরোধে সবুজবাগ সমাজ উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর সবুজবাগ জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আরেফিন ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সবুজবাগ আবাসিক এলাকা উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও চকরিয়া পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেল, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য মাষ্টার আবুল বশর, জালাল উদ্দিন, শিক্ষক ও সাংবাদিক এম, রিদুয়ানুল হক, সাবেক মেম্বার সিরাজুল ইসলাম, হাজী হোসাইন আহমদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বেশ কয়েকমাস যাবত সবুজবাগ আবাসিক এলাকার বিভিন্ন অলি-গলিতে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এসব অপরাধে নেতৃত্ব দিচ্ছে বহিরাগত কিছু বখাটে তরুণ। বিশেষকরে সবুজবাগের আশেপাশের এলাকার অপরাধীরা বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অলি-গলিতে অবস্থান করে মদ-গাঁজা সহ নানা ধরনের মাদক সেবন করে যাচ্ছে। তাদেরকে কিছু বলতে গেলেই দলবল নিয়ে হামলা করতে ছুটে আসে। প্রতিনিয়ত স্কুল-কলেজে পড়ুয়া ছাত্রীদেরকে ইভটিজিং করছে। পাশাপাশি ছিনতাই, চুরি, ডাকাতিসহ নানা অপরাধ করে যাচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, কিশোরগ্যাংদের কারণে অভিভাবকগণ তাদের ছেলে-মেয়েদেরকে স্কুলে পাঠাতে পারছেন না। এইসব কিশোরগ্যাংদের পেছনে রয়েছে বড় ভাই বাহিনী। কিছু বলতে গেলেই ছুটে আসে বড় ভাই বাহিনী।
এসব অপরাধ দমনে বিবিধ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সবুজবাগ আবাসিক এলাকা উন্নয়ন ফোরাম।
পরিকল্পনাগুলো হলো-
১। প্রতিটি সড়কের মোড়ে বসানো হবে সিসি ক্যামেরা।
২। সবুজবাগে বসবাসরত বাসিন্দাদের যাতায়তের সুবিধার্থে রাস্তার মুখে বসানো হবে নিরাপত্তা গেইট।
৩। নিরাপত্তা গেইটে থাকবে (প্রশাসন কর্তৃক মনোনীত) আনসার/দারোয়ান।
৪। অলি-গলিতে টহলরত থাকবে অতিরিক্ত আনসার।
৫। তাদেরকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে উপজেলা প্রশাসন, চকরিয়া থানা পুলিশ ও স্থানীয় উপদেষ্টা পরিষদ।
৬। স্থানীয় তরুণ-যুবকরা অপরাধ দমনে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।
৭। কোনো সন্দেহভাজন বহিরাগত লোক দেখলে সাথে সাথে পুলিশকে জানানাে হবে।
৮। কোনো অপরাধী যদি স্থানীয় কারো বাড়িতে অবস্থান করে তখন ঐ বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৯। স্থানীয় কোনো তরুণ-যুবক বহিরাগত কোনো অপরাধীকে তাদের বাসা/বাড়িতে আনতে পারবে না।