ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. শাহরিয়া কবির ওরফে আকাশ এর বিরুদ্ধে রোগিদের হয়রানি সহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. শাহরিয়া কবির শুধু রোগীদের হয়রানি করেই শান্ত হয়নি। রোগির আত্মীয়-স্বজন সহ ভোরের পাতা ঈশ্বরদী উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক লাহিড়ী মিন্টুর সঙ্গেও অশ্লীল আচরণ করেছেন বলে জানান।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর ) রাত আনুমানিক ৯টার সময় ঈশ্বরদী উপজেলার কালিকাপুরের আজমপুর গ্রামে পশু ছাগল জমির ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয় । আহতরা হলেন মোঃ ইমন (২৪) পিতা ফজলুল হক, মোঃ ফজলুল হক জোহা (৫০) পিতা মৃত আমিনউদ্দি হায়দার খোকা, সাইফুল ইসলাম (৪৮) পিতা আমিনউদ্দিন হায়দার খোকা।
আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করতে গেলে ডাক্তার শাহরিয়ার কবির ওরফে আকাশ প্রথমে আহত রোগিদের ভর্তি করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে রোগির নিকট আত্মীয় ঈশ্বরদীর একজন সিনিয়র সাংবাদিকের কাছে শরণাপন্ন হন।
এসময় সাংবাদিক লাহিড়ী মিন্টু দ্রুত ছুটে যান হাসপাতালে। এবং কর্তব্যরত ডাক্তার শাহরিয়া কবির ওরফে আকাশ কে বলেন, আহত রোগিদের ভর্তি করা যাবে কিনা.? এসময় কর্তব্যরত ডাক্তার শাহরিয়া উত্তেজনায় মারমুখী হয়ে ওঠেন। কর্তব্যরত ডাক্তার শাহরিয়ার উত্তেজনার শব্দ পেয়ে আশপাশে থাকা মানুষগুলো জরো হতে দেখা যায় বলে জানান এক পথচারী রিক্সাওয়ালা।
সুধু তাই নয় একপর্যায়ে কর্তব্যরত ডাক্তার শাহরিয়া কবির সাংবাদিক লাহিড়ী মিন্ট এবং রোগীর সঙ্গে থাকা লোকজনদেরকে শায়েস্তা করার জন্য থানায় ফোন দিয়ে পুলিশ নিয়ে আসে হাসপাতাল অভ্যান্তরে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষের কথা শুনে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না ঘটে এজন্যই আমরা এসেছি।
অপরদিকে এই ঘটনায় অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে এসে উপস্থিতি হয়।
অন্যান্য সাংবাদিকরা ডাক্তারের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে ডাক্তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে বলেন, আগে পুলিশ আসবে তার পর আপনারা আসবেন তাছাড়া আপনারা কার অনুমতি নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন.? যান আগে অনুমতি নিয়ে আসেন। এসময় সাংবাদিকরা তার নাম জিজ্ঞাসা করলে তিনি নাম পর্যন্ত জানাননি।
প্রতিদিনের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তারদের তালিকা
বোর্ডে তার নাম ছিলো না বলে জানান সাংবাদিক লাহিড়ী মিন্টু। সেখানে ডা. রহিমা ফেরদৌসের নাম ছিল।
এবিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসমা খানকে অবহিত করলে তিনি জানান, ঠিক আছে আমি বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন দুর্ব্যবহার করার জন্য ঈশ্বরদীর সাংবাদিক মহল অত্যান্ত ব্যথিত হয়েছে। রাষ্ট্রের একজন কর্মচারি রাষ্ট্রের নাগরিকেদের সাথে এমন দুর্ব্যবহার কোন মতেই কাম্য নয় বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
সাংবাদিক মহল গত ১১ আগস্ট কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসককে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্টের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে বলেন, হাইকোর্ট যেখানে একজন জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দিয়েছে জনগণের জন্য দরজা-জানালা খোলা রাখার জন্য, লুঙ্গি পরেও যেন একজন মানুষ আপনার কাছে যেতে পারে এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভালো কাজ করার তাগিদ দিয়েছে, সেখানে একজন ডাক্তার যিনি জনগণের সেবার জন্য নিয়োজিত।
রোগির আত্মীয়-স্বজনেরা বলেন, প্রায়ই অসহায় রোগীদের নিকট থেকে শোনা যায় সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার থেকে শুরু করে নার্স, আয়া সকলেই রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করে থাকেন বলে জানান।