কক্সবাজারের পেকুয়ায় অন্ত:স্বত্তা নারীকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। ওই ঘটনার জের ধরে ওই নারীর স্বামীকেও প্রকাশ্যে জুতাপেটা করা হয়েছে। ৭ আগষ্ট সকাল ১০ টার দিকে হামলা ও ৮ আগষ্ট সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের উলুদিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত অন্ত:স্বত্তা ওই নারীকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানার এ, এস,আই মো: জয়নাল আবেদীনসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন। আহত গৃহবধূর নাম কমরুন্নেছা (৩৫)। তিনি ওই এলাকার দিনমজুর অলি আহমদের স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বসতভিটার জায়গা নিয়ে অলি আহমদের স্ত্রী কমরুন্নেছা ও প্রতিবেশী আবদুল মালেকের রমিজ উদ্দিন গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। জায়গাটি এরশাদ আলী ওয়াকফের সম্পত্তি। ওয়াকফের সাবেক মোতোয়াল্লী হানিফ চৌধুরী বসতভিটার জায়গাটি রায়তী হিসেবে কমরুন্নেছাকে বসবাস করতে দিয়েছিলেন। কমরুন্নেছা এক সময় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। প্রায় ১০ বছর সেখানে ছিলেন। অলি আহমদ ও কমরুন্নেছার বিয়ের সময় জায়গাটি ওই দম্পতিকে দেয়া হয়েছিল। বাঁশখালীর বরগুনা থেকে অলি আহমদ রাজাখালীতে ঘর জামাই থাকে। এ দিকে সম্প্রতি ওই জায়গা থেকে অলি আহমদ ও কমরুন্নেছা দম্পতিকে উচ্ছেদ পাঁয়তারা চলে। ৭ আগস্ট সকাল ১০ টার দিকে ৫/৬ জনের দুবৃর্ত্তরা অলি আহমদের বসতবাড়িতে হানা দেয়। এ সময় অলি আহমদের স্ত্রী ৪ মাসের অন্ত:স্বত্তা কমরুন্নেছাকে পিটিয়ে জখম করা হয়। পরের দিন ৮ আগষ্ট একই ঘটনার জের ধরে সিকদারপাড়া ষ্টেশনে কমরুন্নেছার স্বামী অলি আহমদকেও প্রকাশ্যে জুতাপেটা করা হয়। ৯ আগষ্ট ভোর ৬ টার দিকে একই দুবৃৃৃৃৃর্ত্তরা অলি আহমদের বসতবাড়িতে গিয়ে ভাংচুরসহ তান্ডব চালায়। প্রত্যক্ষদর্শী মনোয়ারা বেগম জানান, তিন দফা হামলা হয়েছে। কমরুন্নেছা ৪ মাসের অন্ত:স্বত্তা। তাকে মাথায় হাতুড়ি পেটা, কোমরে আঘাতসহ সর্বশরীরে পেটানো হয়েছে। অলি আহমদকে ষ্টেশনে জুতাপেটা করা হয়। এরপর বাড়িতে এসে ভাংচুর চালানো হয়। কমরুন্নেছার ছেলে ৫ম শ্রেনীর ছাত্র আনিছ জানান, আমরা বাড়িতে যেতে পারছিনা। ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র আবু হানিফ জানান, তারা আমাদের বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। নুরানীর ছাত্র মো: শাফি বলেন, তারা আম্মুকে মারধর করেছে। আব্বুকেও পিটিয়েছে। পেকুয়া থানার এ,এস,আই মো: জয়নাল আবেদীন জানান, থানায় লিখিত অভিযোগ আছে। আসলে এরা পরষ্পর নিকট আত্মীয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।