চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে লাথি আর পিঠিয়ে হত্যার অভিযোগে ঘাতক স্বামীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার খুটাখালীতে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত স্ত্রী পারভীন আকতার মারা যান।পারভীনের মৃত্যূর সংবাদ শুনে আত্মগোপনে থাকা ঘাতক স্বামী মোঃ সোহেল(২৭)কে আড়াইটার দিকে আটক করে স্থানীয়রা।পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
নিহত-পারভীন আক্তার(২১)উপজেলার খুটাখালী ইউপির ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের মেদা কচ্ছপিয়ার এলাকার মোখলেছুর রহমানের মেয়ে।এদিকে আটক-মোঃ সোহেল(২৭) রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের মফিজ আহমদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, রামুর রাজারকূলের সোহেলের সঙ্গে চকরিয়ার খুটাখালী ইউপির পারভীনের বিয়ে হয় ১০মাস আগে।বিয়ের পরে তারা প্রথমে স্ত্রী পারভীনের পিতার বাড়িতে থাকতো।ওখান থেকে চার মাস পূর্বে আগে খুটাখালী বাজার সংলগ্ন শুক্কুর ড্রাইভারের মালিকানাধীন বাসায় ভাড়া থাকতো।তাদের ঘরে এখনো কোন সন্তান হয়নি।ঘাতক স্বামী সোহেল বাজারে ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাতেন। এমতাবস্থায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হতে শোনা যায়।এসময় স্বামী সোহেল তার স্ত্রীর পারভীনের তলপেটে লাথি মারে,পরে হয়তো পিঠিয়েছে।তখন থেকে পারভীনের রক্তক্ষরণ শুরু হয়।তা দেখে ঘাতক স্বামী ঘর থেকে বের হয়ে কোথাও চলে যায়।পরে আঘাতের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে পারভীন উচ্চস্বরে চিল্লাচিল্লি করায় প্রতিবেশীরা এসে তাকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।সেখানে চিকিৎসাকালীন অবস্হায় শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মারা যান পারভীন।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন,স্বামী আঘাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় পারভীন মারা যাওয়ার খবর শুনে স্থানীয়রা স্বামী সোহেলকে ধরে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।তাই নিহত পারভীনের মরদেহ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত করা হবে। আটক সোহেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।