কক্সবাজারের চকরিয়ায় নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অপহরণের দশদিন পেরিয়ে গেলেও অপ্রাপ্তবয়স্ক ওই শিক্ষার্থীর এখনো হদিস মিলছে না। এ দিকে এই অপহরণের ঘটনায় জড়িত বখাটেকে আসামি করে রোববার থানায় একটি মামলা রুজু করেছেন অপহৃত শিক্ষার্থীর মা।
সন্ধান চেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে চকরিয়ার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রীর পরিবার।
লিখিত বক্তব্যে ছাত্রীর বড় ভাই শাকিল আরব বলেন, গত ১৭ অক্টোবর বিকেল তিনটার দিকে তার বোন (১৪) বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে যাওয়ার সময় উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মালিপাড়া সড়ক থেকে কয়েকজনের বখাটের দল ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক একটি গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সে উত্তর কাকারা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তাদের বাড়ি ইউনিয়নের মাইজকাকারা গ্রামে। শিক্ষার্থী অপহরণে জড়িত বখাটের মো. মোবারক ওরফে বারেক (২৭)কে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে ইউনিয়নের একই গ্রামের মৃত নজু মিয়ার ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অপহৃত শিক্ষার্থীর মা সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর অপ্রাপ্তবয়স্ক স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে প্রায় দুইমাস ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল বখাটে মোবারক ওরফে বারেক। এমনকি অভিভাবকদের মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাবও পাঠায় বাড়িতে। কিন্তু অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং বখাটের সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক অপহরণ করা হয়। বর্তমানে মেয়েটির বয়স মাত্র ১৪ বছর। তিনি আরও বলেন, অপহরণের পর স্বজনদের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হয়েছে আমার মেয়ের সর্বনাশ ঘটিয়ে কয়েকদিনের মধ্যে বখাটে মোবারক বিদেশ পাড়ি দেবে। তাই পুলিশের কাছে আমার অনুরোধ দ্রুত আমার মেয়েকে উদ্ধার এবং বখাটে মোবারককে গ্রেপ্তার করে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করতে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, কাকারায় নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। এখন বখাটে মোবারককে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সে যাতে বিমানবন্দর হয়ে দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য বার্তা প্রেরণ করা হবে।##