• রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
পেকুয়ায় চোরাই মালামালসহ পিকআপ জব্দ চিংড়ি ঘের নিয়ে উত্তেজনা: পেকুয়ায় কোর্টে গেলেন সাবেক স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর চাষা অস্থিতিশীল বাজার,লাগাম টানা না গেলে দায়ভার সরকারের অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের আর্থিক সহায়তা প্রদান দিনাজপুরে পুকুরে ডুবে ২ সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু ‘আওয়ামী লীগের সামনে দুইটি পথ খোলা; পতন কিংবা পলায়ন’ এতিমখানায় পড়ার সময় প্রেম, যুবকের বাড়িতে কিশোরীর অনশন ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ৫০, বাংলাদেশি থাকার আশঙ্কা খুটাখালীতে আর কত প্রাণ ঝরলে,বনভূমি থেকে মুরগির খামার উচ্ছেদ হবে পেকুয়ায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে হাজির থাকতে প্রেমিক জুটিকে আল্টিমেটাম

পেকুয়ায় বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণ নিয়ে পালানো সেই চক্রকে খোঁজছে পুলিশ

পেকুয়া প্রতিনিধি / ৯৬৮ Time View
আপডেট : সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২

কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণ নিয়ে পালানো সেই চক্রকে খোঁজছে পুলিশ। প্রায় ৩ সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে তবে এখনো অধরা থেকে গেছে স্বর্ণ নিয়ে পালানো দুর্ধর্ষ প্রতারকচক্র। স্বর্ণ খোয়ানো ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী বিচারিক আদালতে আশ্রয় নিয়েছে। নালিশি অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে এর তদন্তভার ন্যস্ত করা হয়। পিবিআই কক্সবাজারের একটি টীম মাঠে কাজ করছে। স্বর্ণ ভর্তি সুটকেস নিয়ে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পালানো সেই চক্রের সদস্যদের খোঁজতে পিবিআই মাঠে নেমেছে। এদের বাড়ি ঘরে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। তবে দুর্দান্ত প্রতারকচক্রের হোতারা পুলিশের ধরপাকড় ও জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতে তারা বার বার স্থান বদল করছে। নিজদের ব্যবহৃত মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে। কৌশল পাল্টাতে তারা একেক সময় একেক স্থানে অবস্থান করছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর সকাল ১০ টার দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি সুটকেস খোয়া গেছে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে দুবাই থেকে একটি বিমানযোগে পেকুয়ার ২ জন যাত্রী শাহ আমানত বিমান বন্দরে নামেন। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আলেকদিয়াকাটার মো: নুরুল কবিরের পুত্র হাফেজ রাশেদুল করিম আবুধাবি থেকে দেশে ফিরছিলেন। একই বিমানে পেকুয়ার শিলখালী সিকদারপাড়ার শামশুল আলমের পুত্র আবদুল হামিদও বিমানযাত্রী ছিলেন। আবদুল হামিদ দুই মাস পূর্বে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে আবুধাবিতে পৌছেন। এক মাস ধরে আবদুল হামিদ হাফেজ রাশেদুল করিমের বাসায় থাকছিলেন। রাশেদুল করিম ৫ বছর ধরে দুবাই আছেন। তিনি সেখানে বোরকার ব্যবসার পাশাপাশি সেখানকার একটি মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে ছিলেন। এ ছাড়াও রাশেদ সেখানে বাঙ্গালী ছেলে-মেয়েদেরকে প্রাইভেট পড়াতেন। ১৩ অক্টোবর রাশেদ ও আবদুল হামিদ বাংলাদেশে আসেন। রাশেদের স্ত্রীর জন্য স্বর্ণালংকারসহ অতিরিক্ত ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার, ল্যাপটপ, বিদেশী মোবাইল সেটসহ ব্যাগ নিয়ে দেশে ফিরছিলেন। দুবাই থেকে যাত্রীরা ১০ ভরি পরিমাণ স্বর্ণ আনতে পারেন। এর অতিরিক্ত হয়ে থাকলে সরকারকে শুল্ককর দিতে হয়। ওই দিন যাত্রী নিয়ে আরব আমিরাতের একটি বিমান সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে অবতরণ করে। সকাল ১০ টার দিকে হাফেজ রাশেদুল করিম স্বর্ণ বহনের শুল্ককর পরিশোধ করতে সোনালী ব্যাংকের বিমানবন্দর শাখায় যান। তবে সুটকেসটি তার সহযাত্রী আবদুল হামিদের হেফাজতে রেখে গেছেন। আধঘন্টা লাইনে দাঁড়ান। এরপর কর পরিশোধ করে। ওই সময়ের মধ্যে রেখে যাওয়া স্বর্ণসহ সুটকেস নিয়ে পালান বিমানযাত্রী আবদুল হামিদ। টার্মিনালে এসে দেখেন রাশেদুল করিমের সঙ্গে থাকা বিমানযাত্রী আবদুল হামিদ সেখানে নেই। এরপর সেখান থেকে রাশেদ চট্টগ্রামে আসেন। আবদুল হামিদের ঘনিষ্ট আবদুল আজিজের বাসা চট্টগ্রাম শহরে। সেখানে তার খোঁজ নেওয়া হয়। এরপর কক্সবাজার শহরে সাইফুর রহমান মানিকের বাসায় গিয়েছিলেন। সুত্র জানায়, আবদুল হামিদ ও সাইফুর রহমান মানিকসহ একটি চক্র দীর্ঘদিন আগে থেকে দুর্দান্ত প্রতারনায় জড়িত। একটি চক্রের মাধ্যমে তারা এ ধরনের জঘন্য কাজে লিপ্ত আছে। বিশেষ করে আবদুল হামিদ ট্যুরিস্ট ভিসা দুবাই গমনের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতারণার উদ্দেশ্য। এ দিকে ৩০ ভরি স্বর্ণসহ সুটকেস উদ্ধারের জন্য হাফেজ রাশেদুল করিম চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ২৬ অক্টোবর নালিশি অভিযোগ রুজু করেন। যার নং ১৭৯০/২২। বিচারিক আদালত এর তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআইকে) ন্যস্ত করেন। হাফেজ রাশেদুল করিম জানান, আবদুল হামিদ দুই মাস আগে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে দুবাই গিয়েছিল। তার বাড়ি শিলখালী আমার বাড়ি পেকুয়া সদরে। আমরা কাছাকাছি এলাকার মানুষ। আমি তাকে আমার বাসায় রাখছিলাম। আসার সময় বিমানের টিকেট আমি করিয়ে দিয়েছি। সুটকেস তার হাতে দিয়ে আমি বিমানবন্দরের সোনালী ব্যাংক শাখায় স্বর্ণের কর দিতে গিয়েছিলাম। আমি এসে দেখি সে পালিয়ে গেছে। চারজনের মোবাইল বন্ধ রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে এর রহস্য বের হবে। পিবিআই কক্সবাজারের এস,আই জাহিদুল আলম জানান, আমরা এর ক্লু উদঘাটনের কাজ করছি। তবে অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখে। পিবিআই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি