কক্সবাজারের চকরিয়ায় লোভের বশবর্তী হয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতে মামলা ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এক ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগ উঠছে।
ক্রয়কৃত জমিতে স্থাপনা নির্মাণে বাঁধা ও আদালতের দোহাই দিয়ে কাজ বন্ধ রাখার জন্য চাপ সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছেন চকরিয়ার ব্যবসায়ী দিদারুল ইসলাম এমরান।
উপজেলারর লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের নলবিলা এলাকায় শনিবার ঘটেছে এ ঘটনা।
ভুক্তভোগী দিদারুল ইসলাম এমরান জানান, লক্ষ্যারচর মৌজায় মরহুম জয়নাল আবেদীন এর পূত্র শফিউল্লাহ চৌধুরী থেকে বিএস ১৬৯৯ ও ৪৩৭০ নং খতিয়ানের ২৩৫৩ দাগের ১৯ শতক জমি ২২৪০ নং কবলা মুলে ক্রয় করে ৪৪৯৯ নং খতিয়ান সৃজন করে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে পুর্ব বড় ভেওলা এলাকার ফরুখ আহমদ চৌধুরীর কন্যা লায়লা বেগম জমি পায় বলে দাবি করে তার স্বামী হাফেজ আমান উল্লাহর ভাই হাফেজ নেয়ামত উল্লার ছেলে কলিম সিকদারকে দিয়ে শনিবার বিকেলে বাঁধা প্রদান করে। কলিম সিকদার ব্যবসায়ী এমরানের কাছ থেকে অনৈতিক টাকা দাবি করে না পেয়ে সে নিজে বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় ভিত্তিহীন একটি অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী এমরান।
অন্যদিকে লক্ষ্যারচর মৌজার মূল বিএস ৫৭৭ নং খতিয়ান থেকে খাইরুন্নেছা ও লায়লা বেগমের নামে সৃজিত বিএস ১৯৯৩ নং খতিয়ানের ২৩৫৩ নং দাগের বিরুদ্ধে রিভিউ মিচ মামলা নং ৯০/২০১৪ মূলে চকরিয়া সহকারী কমিশনার(ভুমি) ২৮/০৯/২১ তারিখের এক আদেশে
০.১২১৮ একর জমি কর্তন করে মূল বিএস ৫৭৭ নং খতিয়ানে পুনর্বহালের আদেশ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে দিদারুল ইসলাম এমরান সৃজিত বিএস ১৬৯৯ ও ৪৩৭০ খতিয়ান এর বিএস দাগ ২৩৫৩ নং থেকে ১৯ শতক জমি ক্রয় করে দখলে থেকে নিজের নামে ৪৪৯৯ নং খতিয়ান সৃজন করেন এবং শান্তি পূর্ণ ভোগদখলে আছেন।
জমির বর্তমান মালিক এমরান আরও বলেন, লক্ষ্যারচর মৌজার বিএস ২৩৫৩ নং দাগে লায়লা বেগমের সম্পত্তি না থাকা স্বত্তেও, লোভের বশবর্তী হয়ে, হয়রানি করার উদ্দেশ্যে গত ১৮ জানুয়ারি পুর্ব বড় ভেওলা এলাকার হাফেজ আমান উল্লাহ’র স্ত্রী লায়লা বেগম বাদী হয়ে বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত কক্সবাজারে ১৪৪ ধারার আবেদন করেছে বলে জানতে পারি। বিষয়টি সহকারী কমিশনার (ভূমি) চকরিয়াকে তদন্ত দিলে প্রকৃত মালিক নির্ণয় করা সহজ হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আদালত কতৃক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পূর্বেই লায়লা বেগম গং আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ভুল ও মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে আমাকে সমাজের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করছেন। এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জনিয়ে, অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে লায়লা বেগমের স্বামী হাফেজ আমান উল্লাহ জানান, উক্ত জমি ওনার স্ত্রী লায়লা বেগম ওয়ারিশ সুত্রে মালিক। জমি উদ্ধারের জন্য তিনি আদালতের দারস্থ হয়েছেন বলে জানান তিনি।