• শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:০৮ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কুপিয়ে খুন, বদলা নিতে ৬ বাড়িতে আগুন বেনাপোল সীমান্তে ফেনসিডিল-গাঁজা উদ্ধার, আটক ২ আমতলীতে জাহানারা লতিফ মোল্লা ফাইন্ডশনের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ মালুমঘাট দিশারী সমিতির কমিটি গঠন ও ইফতার মাহফিল,আলোচনা সভা সম্পন্ন ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে তৃনমুলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করেছে সরকার – পলক ঠাকুরগাঁওয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীকে সাইকেল ও নগত অর্থ প্রদান তিন মাসে ৫৬ সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন — আইন ও সালিশ কেন্দ্র কোটচাঁদপুরে দুই মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ১ সংযুক্ত আরব আমিরাতে মৃত্যুবরণ করা চকরিয়ার তিন প্রবাসীর জানাজা সম্পন্ন ঝিনাইদহ পৌরসভার কলাবাগানপাড়ারতিনটি রাস্তার কাজের উদ্বোধন

পেকুয়ায় মাটি ভরাট করে জবর দখলে নিল মুক্তিযোদ্ধা ও দুই শিক্ষকের জমি

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি / ৫৫ Time View
আপডেট : শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৩

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ভাড়াটে লোকজন জড়ো করে মুক্তিযোদ্ধা (ননখেতাবপ্রাপ্ত), দুই শিক্ষকের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোর্টে ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে। তবে এ সব না মেনে দুটি প্রভাবশালী চক্র দুই শিক্ষকসহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি জবর দখল প্রক্রিয়ায় মেতেছে। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পুরাদিয়া এলাকায় হাজী বাজারের আহেলিয়া মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন স্থানে জবর দখল প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পেকুয়া থানা পুলিশ কয়েকদফা বিরোধীয় স্থান পরিদর্শন করেছেন। তবে পুলিশ আসার পর শুরু হয় মাটি ভরাটসহ দখল প্রক্রিয়া। স্থানীয় সুত্র জানা গেছে, টইটং ইউনিয়নের পুরাদিয়া এলাকার মৃত মাষ্টার কবির আহমদের পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা (নন খেতাবপ্রাপ্ত) হাবিবুর রহমান গং ও রমিজপাড়ার নুরুল ইসলামের পুত্র রাজা মিয়া, পূর্ব টইটং পানখালীমোড়ার হাবিবুর রহমানের পুত্র আক্তার আহমদ গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। জায়গাটি ব্রিটিশ আমল থেকে মাষ্টার কবির আহমদের পৈত্রিক অংশসহ ওই পরিবারটি ভোগ করছিলেন। এজমালি অংশের জায়গাটিতে মাষ্টার কবির আহমদ দীর্ঘ শত বছর ভোগ দখলে ছিল। তবে এজমালি অংশের এ জায়গাটি ওই শিক্ষকের বংশীয় ওয়ারিশ থেকে গত ২০২২ সালের ২৯ মার্চ ০.১১৯৯ শতক জায়গা ৯১৪ নং দলিলমূলে কেনা হয়। মাষ্টার কবির আহমদের ৬ পুত্রের নামে জায়গাটি কবলা সম্পাদন হয়। পরবর্তীতে ওই জায়গাটিতে জমাভাগ খতিয়ানও সৃজিত হয়েছে। এ দিকে গত কয়েক দিন আগে রাজা মিয়া ও আক্তার আহমদ গং পৃথক পৃথক জায়গা দখলে তৎপর হন। এদের গতিবিধি সন্দেহ হয়। মাষ্টার কবির আহমদের পুত্র আমানুল্লাহ গং কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এম,আর মামলা রুজু করে। যার নং ২০৭/২৩। জানা গেছে, গত দুই দিন আগে থেকে মাষ্টার কবির আহমদের পুত্র হাবিবুর রহমান গংদের ভোগ দখলীয় জমিতে দখল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেখানে মাটি ভরাট করে ফসলি জমিতে তৈরী করা হচ্ছে ভিটা। রাজা মিয়া ও আক্তার আহমদ গং সেখানে পৃথক উদ্যোগে নিজস্ব দুটি ভিটা তৈরীর কাজ চলমান আছে। পেকুয়া থানার এস,আই হেশাম উদ্দিন কয়েকদফা সেখানে গিয়েছিলেন। এরপরও কাজ চলমান রয়েছে। জানা গেছে, মাষ্টার কবির আহমদ একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির টইটংয়ের অন্যতম কর্ণধার। তার ৬ ছেলেই উচ্চ শিক্ষিত। ১ ছেলে হাবিবুর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতা সংগ্রামে সম্মুখভাগে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা। পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষকের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কৃষকলীগ প্রতিষ্টা করেন। হাবিবুর রহমান ছিলেন কৃষকলীগের প্রতিষ্টাকালীন ইউনিয়ন সভাপতি। ওই জায়গায় দুইজন শিক্ষকও মালিক। উনারাও মাষ্টার কবির আহমদের সন্তান। একজনের নাম আহসান উল্লাহ। তিনি চট্টগ্রামের পশ্চিম পটিয়ার শাহমির সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অপর ছেলে আবু হানিফ পেকুয়া জিয়া কলেজের শিক্ষক। সুত্র জানায়, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় কবির মাস্টারের বাড়িটি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় শিবির। সেই সময় বঙ্গবন্ধু সরকারের গভর্ণর এডভোকেট জহিরুল ইসলাম, আ’লীগের জাতীয় নেতা আতাউর রহমান কাইছারসহ মুক্তিযুদ্ধের অনেক কীর্তিমান সন্তান পাহাড়ের পাদদেশের বাড়িটিতে অবস্থান নিতেন। এমনকি রণাঙ্গনের সময়ে বাঁশখালী নাপোড়া থেকে ৩০/৪০ জনের হিন্দুরা ওই বাড়িতে ঠাই পেয়েছিলেন। আল বদর বাহিনীর প্রচন্ড নির্যাতনের শিকার ছিলেন এ সব হিন্দু পরিবারের পুরুষ ও নারীরা। দিপক, শিবু, দীপুমণিদের পরিবার ছিল ওই বাড়িতে। এদের বাড়ি বাঁশখালীর নাপোড়ায়। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় ও হিন্দুদের সহায়তা দেওয়ায় সেই সময় পাকবাহিনীর নজরে ছিল এ পরিবারটি। পরবর্তীতে ওই অপরাধে মাষ্টার কবির আহমদের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা (নন খেতাবপ্রাপ্ত) হাবিবুর রহমানকে গুলি করে হত্যার আদেশও হয়েছিল। অথচ এ পরিবারটি বর্তমানে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার। এ ব্যাপারে অপরপক্ষের আক্তার আহমদ জানান, এ অংশের জায়গা আমরা ক্রয় করেছি। কিছু জায়গা আমাদের কম রয়েছে। পেকুয়া থানার এস,আই হেশাম উদ্দিন জানান, আদালতে এম,আর মামলা আছে। কোন পক্ষকে অনুপ্রবেশসহ কাজ না করতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তপক্ষকে আইনী সহায়তা দেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি