কক্সবাজারের চকরিয়ায় একই পরিবারের ৩ভাই প্রতিবন্ধি ১ভাই সুস্হ,সবল।তাদের পিতামহের বসতরত ৭০বছরের বসতভিটা কেড়ে নিতে সৌদি প্রবাসী নুরুল আমিনের হুমকি,মামলার ভয় সহ হামলা চালানো হয়েছে।
এমন ঘটনাটি গত ২৫ জানুয়ারী বিকেলে উপজেলার পূর্ব বড়ভেওলা ইউনিয়নে ঘটেছে।
ভূক্তভোগি প্রতিবন্ধিরা হলেন-উপজেলার পূর্ব বড়ভেওলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আসিনপাড়া গ্রামের মৃত লেচু মিয়ার ছেলে আব্দুল হামিদ(প্রতিবন্ধি),নাজেম উদ্দিন(কিডনী রোগী প্রতিবন্ধি),মিজবাহ উদ্দিন,সেলিম উদ্দিন(প্রতিবন্ধি)।
সরেজমিনে গেলে,প্রতিবন্ধিদের চাচা-আবু তাহের(৫৮) সহ স্হানীয়রা জানান,মাতামূহুরী নদীর তীরবর্তী পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবোর)জায়গাতে দীর্ঘ ৭০বছরের অধিক সময় ধরে প্রতিবন্ধির দাদা,বাবা ও তারা সহ অসংখ্য পরিবার বসবাস করেছেন।জায়গাগুলো প্রথমে স্হানীয় এক জমিদার থেকে ক্রয় করেছি।কিন্তু এই জমিদার টাকা নেওয়ার পরে যখন রেজিষ্ট্ররি দিচ্ছেনা।তখন তার জন্য বিচার দিতে গিয়ে জেনেছি।এইগুলো পাউবোর জায়গা(সরকারী)।তখন থেকে কোন ঝামেলাহীন বসবাস করে আসছি। হঠাৎ গত ২২জানুয়ারী একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওবাইদুল হাকিমের ছেলে সৌদি প্রবাসী প্রভাবশালী নুরুল আমিন প্রতিবন্ধিদের বসবাসরত ৪৮কড়া ১৬শতক জমি ক্রয় করেছেন মর্মে তাদেরকে অন্যত্রে চলে যেতে বলেন।তারা চলে না যাওয়াই গত ২৫জানুয়ারী স্বশস্ত্রধারি বাহিনী নিয়ে বসতভিটার ভিতরে থাকা টিনের ছাউনির দোকানপাট ভাংচুর ও মালামাল লুট করেছে।এরপরও আমিন আমাদেরকে চলে যেতে হুমকি দিয়ে গেছেন।না হলে নাকি মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠাবে অথবা খুন করে ফেলবেন।তাছাড়া এই প্রতিবন্ধিরা এমনিতে অসহায়,গরীব,অনাথ।তারা যাবে কোথায় বলে প্রশ্ন তুলেন এলাকাবাসী।বিষটি আমরা স্হানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে,চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিক উভয়পক্ষ নিয়ে শালিসে বসেন।শালিসে প্রবাসী নুরুল আমিনকে ডকুমেন্ট দেখাতে বলা হয়।পরবর্তী বৈঠকের পূর্বে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তিনি।তাই এমন হয়রানি আর হুমকি থেকে বাঁচতে দেশের উধ্বর্তন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
প্রবাসী নুরুল আমিন জানান,আমি স্হানীয় দুইজন লোক থেকে ৪শতক জায়গা ক্রয় করেছি।যা প্রতিবন্ধির বসতভিটার ভিতরে পড়েছে।বিক্রেতার আমাকে রেজিষ্ট্ররি করে দিয়েছেন।তবে দখল বুঝিয়ে দেননি,দেখিয়ে দিয়েছেন।তাই আমার ক্রয়কৃত জায়গা থেকে তাদেরকে সরে যেতে বলেছি।
এবিষয়ে পূর্ব বড়ভেওলার চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন মুন্নাকে দুইদিনে একাধিক বার ফোন করি।ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।