কক্সবাজারের পেকুয়ায় গভীর রাতেই নির্মিত হয়েছে বিরোধীয় জমিতে স্থাপনা। জবর দখল কুমানসে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র ব্যবসায়ী ও কর্মজীবি দু’সহোদরের জমিতে হানা দেয়। এ সময় ড্রাম ট্রাক ভর্তি মাটি ফেলে সেখানে তৈরী করা হয় বসতভিটা। অত:পর ওই স্থানে গভীর রাতেই নির্মাণ করা হয় স্থাপনা। এ দিকে ১৭ শতক জায়গা নিয়ে পেকুয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্ধ প্রকট আকার ধারণ করেছে। জবর দখল ঠেকাতে জায়গার মালিক কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এম,আর মামলা রুজু করে। মামলার পূর্বাভাস ও তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর বিরোধীয় জায়গায় দ্রæত অনুপ্রবেশ ঘটনো হয়। উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর মেহেরনামা ৬ নং ওয়ার্ডে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ১৭ শতক জায়গা নিয়ে মগনামা ইউনিয়নের লাল মিয়া পাড়ার মৃত আলী আকবরের পুত্র মনির উদ্দিন গং ও সদর ইউনিয়নের উত্তর মেহেরনামার ৬ নং ওয়ার্ডের সিরাজ মিয়ার পুত্র শফিউল আলম, মৃত বশির আহমদের পুত্র কবির হোসেনের মধ্যে দ্বন্ধ চলছিল। চলতি মাসের ২১ জানুয়ারী সকালে শফি আলম গং বিরোধীয় জমিতে হানা দেয়। এতে করে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা এসে জায়গাটির জবর দখল প্রতিহত করতে সক্ষম হন। মামলা সুত্র জানা গেছে, ১৯৬৭ ইং দিকে ৩১৩৮ নং রেজিস্ট্রিমূলে জায়গাটি ছিদ্দিক আহমদ বন্ধক নেন। ৩১ আগষ্ট ১৯৮৮ ইং দিকে ৩৫৯৫ দলিল মূলে ওই জায়গাটি ফুরুক আহমদকে বন্ধকী ফেরত প্রদান করা হয়। ওই সময় ৩৫৯৭ নং কবলামুলে উক্ত জমি আবদুল গফ্ফারকে বিক্রি করা হয়। ১৯৯৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর ৫২১৫ নং কবলামুলে ২০ শতক জমি খুইল্ল্যা মিয়াকে বিক্রি করা হয়। এরপর ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর ১৭৬১ নং কবলামূলে বিএস ৩০৪ দাগের পৃথক চিহ্নিত মতে ১৭ শতক জমি বায়া দলিলের মালিক ও ভোগ দখলদার গং মগনামা ইউনিয়নের লালমিয়া পাড়ার মৃত আলী আকবরের ২ পুত্র মনির উদ্দিন ও আমির উদ্দিনকে বিক্রি করে। বিক্রিত জমিতে আমির উদ্দিন ও মনির উদ্দিনের অনুকুলে সৃজিত বিএস ৩৫৮১ নং খতিয়ান সৃজন হয়েছে। এ দিকে মনির উদ্দিন ও আমির উদ্দিন এ দু’সহোদর থাকেন এলাকার বাহিরে। ১ ভাই পোশাক শিল্পে কর্মজীবি। অন্যজন ব্যবসায় জড়িত। চট্টগ্রাম শহর ও পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি থাকেন দু’জনে। এতে করে ভূমিদস্যুরা ওই দুই ভাইয়ের জায়গাটিতে অনুপস্থিতির সুযোগে রাতেই তৈরী করছে অবৈধ স্থাপনা। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এম,আর মামলা ২১৮/২৩ রুজু আছে। বাদী জায়গার মালিক মনির উদ্দিন গং। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বনৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাটি প্রধান সড়কে লাগোয়া জায়গাটির স্থিতি অবস্থান। সাবেকগুলদি ষ্টেশনের পূর্ব পার্শ্বে গুরুত্বপূর্ন স্থানে জায়গাটি হওয়ায় লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে শফি আলম গংদের। তারা ওই জায়গার অর্ধেক অংশে মাটি ভরাট করে সেখানে ভিটাসহ ঘর তৈরী করছেন। মনির উদ্দিন ও আমির উদ্দিনের বড় ভাই আরকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত পেকুয়া উপজেলা সড়ক কমিটি (আবেদিত) আহবায়ক নাজিম উদ্দিন নাজু জানান, জায়গাটি আমার দু’ভাইয়ের খরিদা স্বত্ত। ভোগ দখলে আছে তারা। রাতারাতি সেখানে জবর দখল প্রক্রিয়া চলছে। কোর্টে এম,আর মামলা হয়েছে। এসিল্যান্ড ও পেকুয়া থানায় ১৪৪ ধারার আবেদনের বলবৎ কপি সরবরাহ করা হয়েছে। পেকুয়া থানার ওসি ওমর হায়দার জানান, ১৪৪ ধারার বিষয়টি পুলিশ দেখবে। ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে আইনী সহায়তা দেওয়া হবে।