# ২৭৫ মিটার উঁচু নির্মিত হচ্ছে একটি চিমনি ।
# ৩২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে সংযোগ সড়ক।
# ২০২৫ সালে সমুদ্রবন্দর চালুর কথা ।
# ২৬ কিলোমিটার রেলপথ তৈরি হচ্ছে বন্দরের মালামাল পরিবহনের জন্য ।
…………………………………..
সরেজমিনে, মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে দেশি–বিদেশি প্রকৌশলীরা কাজের তদারকি করছেন। কাজে ব্যস্ত হাজারেরধিক শ্রমিক। ২ হাজার ১৫০ মিটার লম্বা পাথরের বাঁধ তৈরি হচ্ছে প্রকল্পের উত্তর–পশ্চিম পাশে । চ্যানেলে নোঙর করা প্রকল্পের মালামাল নিয়ে আসা জাহাজ থেকে জেটি দিয়ে মালামাল খালাস হচ্ছে। চ্যানেলের পাশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও বিদেশি কোম্পানির কার্যালয়, কর্মকর্তা–কর্মচারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের থাকার ডরমেটরি। নির্মিত হচ্ছে ২৭৫ মিটার উঁচু একটি চিমনি।
এর পাশেই নির্মিত হচ্ছে পাওয়ার হাউস, কোল ইয়ার্ড, সাবস্টেশনসহ নানা অবকাঠামো। কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে । কাজের অগ্রগতি ৭৫ শতাংশ, আগামী দুই বছরের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হলে জাতীয় গ্রিডে এ প্রকল্প থেকে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে ।
নতুন ভাবে মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের পাশেই হচ্ছে । এ বন্দরের মালামাল পরিবহনের জন্য তৈরি হচ্ছে ২৬ কিলোমিটারের রেলপথ। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে স্থানীয় লোকজনের কর্মসংস্থানসহ ব্যবসা–বাণিজ্যের প্রসার।
তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের এ মেগা প্রকল্পটি মাতারবাড়ীর ১ হাজার ৬০০ একরের পরিত্যক্ত লবণ মাঠে গড়ে উঠছে । বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ দৃশ্যমান হওয়ায় এলাকার জমির দামও বেড়ে যাচ্ছে। প্রকল্পের কাজ যতই এগিয়ে যাচ্ছে, এলাকার দৃশ্যপটও তত পাল্টে যাচ্ছে।
নির্বরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুমিতমো করপোরেশন, তোশিবা করপোরেশন ও আইএসআইয়ের তত্ত্বাবধানে ১৭টি দেশের অন্তত ১ হাজার ১৫০ বিদেশি নাগরিক এই তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করছেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রথম ইউনিটে ৬০০ মেগাওয়াট এবং একই বছরের জুলাইয়ে দ্বিতীয় ইউনিটে আরও ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বরাদ্দ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা দিচ্ছে ২৮ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। অবশিষ্ট টাকা বাংলাদেশ সরকারের।
সংযোগ সড়ক নির্মিত হলেই বাণিজ্যিকভাবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ শুরু হবে। ২০২৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সমুদ্রবন্দর চালু হওয়ার কথা। কোল পাওয়ারের এক কর্মকর্তা বলেন, ৭ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের অক্টোবরে। ৩২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সড়কের কাজ আড়াই বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা যায়নি। এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি মেগা প্রকল্পের বিশালাকার কর্মযজ্ঞ দেশি বিদেশী বিনিয়োগ, বিষ্ময়কর অবিশ্বাস্য উন্নতির মধ্যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বিপ্লব ঘটবে দেশের অর্থনীতিতে ।