• বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
আমতলীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ২ বিআরটিএ ও ডামের উদ্যোগে ১৮০ গণপরিবহণ চালককে প্রশিক্ষণ প্রদান সিংড়ায় পুর্ব শত্রুতার জেরে বাড়িতে হামলা গাইবান্ধায় সড়ক উন্নয়ন কাজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন উদ্বোধন করেন হুইপ গিনি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উদাখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে দ্বিতল একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন এমপি রিপন গোবিন্দগঞ্জ বিনামূল্যে পাটবীজ বিতরণ ভোট না দেয়ায় জেলেদের চাল দেয়নি ইউপি সদস্য আমতলী গাজীপুর বন্দর বাজারের স্টলে গোয়ালঘর! পেকুয়ায় ঋনদান সমিতির ৭হাজার সদস্যের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিলি চকরিয়ায় জায়গা দখলের চেষ্টায় দুর্বৃত্তের হামলায় রিক্সা চালক ও নারীসহ আহত-৩

পেকুয়ায় বিলুপ্তির পথে সোনাইছড়ি জামে মসজিদ সড়ক

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি / ১৭ Time View
আপডেট : বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩

কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিপুপ্তির পথে টইটং ইউনিয়নের পূর্ব সোনাইছড়ি শোয়াইর বাপের জামে মসজিদ সড়ক। গ্রামীণ অবকাঠামোর অতিজনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি এখন প্রায় বিলুপ্তির দিকে। নেই প্রশস্ততা ও উচ্চতা। ফসলী জমির সাথে ওই সড়কটি এখন একাকার। এক সময় ওই সড়কটির কারণে টইটংয়ের পাহাড়ী জনপদ পূর্ব সোনাইছড়িতে ছিল প্রাণচাঞ্চল্য। তবে কালের পরিক্রমায় বর্তমানে শোয়াইর বাপের জামে মসজিদ সংযোগ সড়কটি অস্তিত্ব হারাবার মধ্যে পড়ে গেছে। বিগত ৪০ থেকে ৫০ বছর ধরে গ্রামীণ ওই সড়কটিতে হয়নি কোন উন্নয়ন। সংষ্কারকাজ বাস্তবায়ন না থাকায় হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম শোয়াইর বাপের জামে মসজিদ সড়কটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
হাজী বাজার, ঢালার মুখ সড়কের সোনাইছড়ি ফারুক সওদাগরের দোকান থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন আহমদ জামে মসজিদ পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার বিস্তৃত এ রাস্তাটি বেহাত হয়ে গেছে। অর্ধ কিলোমিটার জুড়ে সোনাইছড়ির এ রাস্তাটি এখন কিছু অসাধু মানুষের কৃদৃষ্টির মধ্যে পড়েছে। ঢুকে পড়েছে ভূমিদস্যু দখলবাজ চক্রের পেটে। তারা ওই সড়কটির জন্য অন্তরায়। সড়কটি কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। সড়কটির দুই পাশে ফসলী জমির বিল। পূর্ব সোনাইছড়ি ধানক্ষেতের সবুজ সমারোহে উপর দিয়ে এ সড়কটি বহমান। তবে এখন আর রাস্তার অস্তিত্ব পাওয়া যাবেনা। স্থানীয়রা জানান, মাটি কেটে রাস্তাটির প্রশস্ত হ্রাস করা হয়েছে। দুই পাশের ফসলী জমির মালিকরা ওই রাস্তাটি কেটে ফেলার জন্য অনেকটা দায়ী। তারা জমির পরিধি বাড়াতে শোয়াইর বাপের সড়ক কেটে ফেলেছে। অপরদিকে দীর্ঘ চার যুগ ধরে সংষ্কার বঞ্চিত থাকায় এ সড়কটি উন্নয়ন থেমে গেছে। সড়কটির অংশে একটি আরসিসি কালভার্ট ছিল। পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারী অর্থায়নে ২০ বছর আগে ওই কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। কুচক্রীদের লোলুপ দৃষ্টিতে এ কালভার্টটিও এখন মাটিতে ধসে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, রাস্তার উন্নয়ন ও এর গতি থামিয়ে দিতে মূলত কালভার্টটির উপর নাশকতার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। এর চুড়ান্ত প্রতিফলন এ কালভার্টটি ভেঙ্গে ফেলানো।
সরেজমিন পরিদর্শন করতে গিয়ে শোয়াইর বাপের জামে মসজিদ সড়কটির করুণ অবস্থা নিরুপন করা হয়। টইটং ইউনিয়নের পূর্ব সোনাইছড়ি হাজী বাজার ঢালার মুখ সড়কের নবু মেম্বারের বাড়ির পূর্ব পাশে ফারুক সওদাগরের দোকানের পশ্চিম অংশ দিয়ে সড়কটি সোজা দক্ষিণদিকে বহমান। শোয়াইর বাপের জামে মসজিদ হয়ে দুদু মিয়ার বাড়ি, তজু মিয়ার বাড়ি হয়ে সড়কটি মাঝেরপাড়া ও রমিজ উদ্দিন আহমদ সড়কে গিয়ে মিশেছে। অর্ধ কিলোমিটারের মধ্যে বাড়ি ঘর তেমন নেই। বড় দুটি বাড়ি আছে। তবে ওই সড়কটি সোনাইছড়ির পাহাড়ী জনগোষ্টীর যাতায়াতের জন্য একটি সহজ মাধ্যম। পাকিস্তান সময়ে এ রাস্তাটি সংষ্কার করা হয়। ২০০৭ সালের দিকে একবার মাটি ভরাটসহ সংষ্কার করা হয়েছিল। সে সময় পাহাড় থেকে নেমে আসা পানি নিষ্কাশনের জন্য দুদু মিয়ার বাড়ির উত্তর পাশে আরসিসি কালভার্ট স্থাপন করা হয়। এ ব্যপারে কৃষক জমির হোসেন জানান, একটি রাস্তার জন্য আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি। আমি সবজি বাগান করি। পেঁপে, কলা, মাল্টা, পেয়ারাসহ ফলজ বাগান করি। আমার উৎপাদিত কৃষি পণ্য পেকুয়াসহ সারাদেশে সরবরাহ করি। এখানে আরো অনেক আদর্শ কৃষক আছে। যা খাদ্য উৎপাদনের জন্য এ অঞ্চলে অনুরকরণীয় দৃষ্টান্ত। রাস্তার কারণে আমরা উৎপাদন ব্যবস্থায় পিছিয়ে আছি। পরিবহন করতে সমস্যা হয়। গৃহবধূ আরিফা বেগম ও কামরুন্নাহার জানান, সোনাইছড়ির জন্য এ সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। রমিজপাড়া থেকে ঢালারমুখ, বনকানন যাতায়াতের জন্য মাঝখানে অনেক দূরত্ব কমে যায়। ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী শাহাব উদ্দিন সিকদার জানান, আসলে এ সড়কটি আমার ওয়ার্ডের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। আরসিসি কালভার্টটি ভেঙ্গে গেছে। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি এটি উন্নয়নের জন্য। প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও টইটংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন আহমদ জানান, রাস্তাটির প্রতি সুনজরের প্রয়োজন আছে। আমরা রাস্তা হতে দেখেছি। কিন্তু একটি পুরানো রাস্তা এ ভাবে থেমে যাবে তা কিভাবে হয়। টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আসলে জমির মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা রাস্তা করলে কেউ যদি প্রতিবন্ধকতা করে সেটির দায় সরকার ও আমরা নেবনা। রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ন। আমার চেষ্টা থাকবে এটি যেন আবার সংষ্কার ও উন্নয়ন করা হয়। টইটং ইউনিয়নে আমি অনেক উন্নয়ন করেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি