জানাগেছে, আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে পুনঃ নির্বাচনে ৬১ টি কেন্দ্রে এক লক্ষ ৭১ হাজার ভোটের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। উল্লেখযোগ্য পরিমান ভোটার উপস্থিতি চোখে পরেনি। বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত (২৫-৩০)% ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা নিবার্চন অফিসার মোঃ সেলিম রেজা। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রাথর্ী মুফতি ওমর ফারুক জেহাদী অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার এজেন্ট নামিয়ে নৌকা প্রতিকে দেখিয়ে ভোট দিতে ভোটারদের বাধ্য করেছে। আমতলী একে সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নুরুল ইসলাম ফকির নামের তার এক এজেন্টকে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সমর্থকরা পানিতে নামিয়ে নির্যাতন করেছে। চাওড়া লোদা কেন্দ্রে আমার এক কর্মীকে মারধর করেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, ভোট শুরু হওয়ার দুই ঘন্টায় তেমন ভোটার উপস্থিতি ছিল না। তারিকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত দুই হাজার সাত’শ ২৬ ভোটের মধ্যে মাত্র ৩০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। একই সময়ে আড়পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিন হাজার তিন’শ ২১ ভোটের মধ্যে এক’শ ৬০ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। মহিষডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই হাজার ছয়’শ ৩২ ভোটের মধ্যে বেলা সাড়ে ১১ টায় মাত্র দুই’শ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। হলদিয়া হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত দুই হাজার ছয়’শ ৫৪ ভোটের মধ্যে ছয়’শ ৯১ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। শতাংশ হিসেবে ওই কেন্দ্রে ২৬% ভোট পরেছে। পশ্চিম সোনাখালী সরকারী প্রাথমিব বিদ্যালয়ে বিকেল পৌনে তিনটা পর্যন্ত দুই হাজার পাচ’শ ৬০ ভোটের মধ্যে মাত্র দুই’শ ৬৫ ভোটার ভোট দিয়েছেন। আমতলী একে সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুই হাজার ছয়’শ ৫১ ভোটের মধ্যে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত নয়’শ ৮৮ ভোটার ভোট দিয়েছেন। এ কেন্দ্রের হাতপাখা প্রতিকের এজেন্ট নুরুল ইসলাম ফকির নামের একজনকে আওয়ামীলীগ কমী সমর্থকরা কেন্দ্রে থেকে ডেকে এনে পানিতে নামিয়ে নির্যাতন করেছে। ওই এজেন্টকে পানিতে নামিয়ে নির্যাতনের ভিডিও বিকেল চারটার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখাগেছে তিনি আমতলী পৌর শহরের লেকে উচ্চ কন্ঠে চিৎকার করে কান্নাকাটি করছেন।
নৌকা প্রতিকের সমর্থক মোঃ সোহেল রানা বলেন, খুবই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছি। কিন্তু ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ প্রাথর্ী অ্যাডভোকেট এমএ কাদের মিয়া বলেন, শান্তিপুর্ণভাবে ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে। আশাকরি আমি বিজয়ী হবো।
আমতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, শান্তিপুর্ণভাবে ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে। এখন ভোট গননা চলছে।