ফাতেমা আক্তার সুমি
আমি চলনবিলের সন্তান –
ভালো যে লাগেনা আমার,এখন থেকে করতে প্রস্থান।
এখানে বর্ষায় দেখা যায় অপরূপ দৃশ্য,
চলনবিলের অনেক কৃতি সন্তান জয় করেছে বিশ্ব।
দেশ-বিদেশের সবাই জানে চলনবিলের শ্রেষ্ঠত্বের কথা,
তাই তো আমি সইতে পারিনা চলনবিলের নামে দেয়া অপমানের ব্যাথা।
দেশ-বিদেশ হতে দেখতে আসে চলনবিলের রূপ
তাই তো আমার চলনবিল নিয়ে অহংকার খুব।
আজ বর্ণনা করবো আমি চলনবিলের মুগ্ধতা-
এর বাতাসে যে আছে বড় কোমলতা আর সিগ্ধতা।
গ্রীষ্মকালে এখানে দেখা যায় ধানের বাহার,
মাঝে মাঝে গ্রামগুলো দেখে মনে হয় ছোট ছোট সব পাহাড়।
বর্ষায় চারিদিকে পানিতে থৈ থৈ –
জেলেরা ধরে মাছ করে হৈ চৈ।
একধার থেকে দেখলে মনে হয় যন একটা সমুদ্র পাড়,
কেউ বলতে পারবে না কোথায় এর কিনার।
তারই মাঝে গ্রামগুলো দেখে মনে হয় যেন দ্বীপ,
সন্ধায় দেখা যায় সেখানে হাজারো
প্রদীপ।
নৌকায় ঘুরে বেড়ায় রং-বেরঙের মানুষ,
মনোহর রূপ দেখে থাকে না তাদের হুশ।
যখন ফিরে আসে ঘরে-
চলনবিলের জন্য মনটা যে আনচান করে।
অতি সংক্ষিপ্তভাবে শেষ হলো আমার চলনবিলের শ্রেষ্ঠত্বের কথা,
চলনবিলের নামে কটুকথা বলে কেউ দিওনা আমায় ব্যাথা।
অনার্স-২য় বর্ষ
নবান সিরাজ-উদ্-দৌলা সরকারি কলেজ।
জেলাঃ নাটোর
থানাঃ সিংড়া।