কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় স্ত্রী ইয়াছমিকে জবাই করে হত্যা চেষ্ঠায় ব্যর্থ হয়ে,রাতে আধারে পেট্রোল দিয়ে বসতবাড়ী পুড়িয়ে দিয়েছেন পাষাণ স্বামী আব্দুর রহিম।এমন অভিযোগ করেন ভূক্তভোগি পরিবার।
শনিবার রাত ৩টার দিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের উত্তরপাড়া-হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় এঘটনাটি ঘটেছে।
ভূক্তভোগি ও আহত ইয়াছমিন ওই এলাকার মৃত রহমত আলীর মেয়ে।
পাষন্ড স্বামী আব্দুর রহিম,উপজেলার পূর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের সিকদার পাড়া গ্রামের মৃত ইছহাকের ছেলে।তবে বিবাহের পর থেকে দীর্ঘ ১৫বছর যাবৎ। শশুর বাড়ীর পাশে থাকতেন।
ঘটনার বিষয়ে ভূক্তভোগি ও আহত ইয়াছমিন জানান,আমার বিবাহের পর থেকে এখানে আলাদা ঘর করে বসবাস করে আসছি।আমার স্বামী আগেও অনেক সময় পালিয়ে যেত,আবার এসে থাকতো।এভাবে কষ্টাজিত সংসার আমার।হঠাৎ গত শনিবার মাগরিবের আগে আমার স্বামী রহিম অটোরিকশা কিনার জন্য টাকা দিতে বলেন।তখন আমি বলেছি টাকা কোথায় পাব।এই কথা বলার সঙ্গে-সঙ্গে ক্ষিপ্ত আমাকে বেদড়ক মারধর করে।মার খেয়ে মাটিতে লুঠিয়ে পড়ি।এমতাবস্থায় সে দা নিয়ে আমাকে জবাই করে হত্যার চেষ্ঠা করাকালে আমার ছোট মেয়ে জেসমিন,ছেলে রাসেল,আরাফাতেরা তাদের পিতার হাতধরে ধসা করে উচ্চস্বরে কান্নাকাটি ও চিল্লাচিল্লি করাতে পাশের বাড়ীর হাসিনা,হুমাইরা,সাজেদা,মনোয়ারা ও মোঃআলী দৌড়ে এসে আমাকে উদ্ধার করেছেন।এরপর আমার স্বামী বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়।
এরপর আমার বৃদ্ধা মা এসে আমাকে বাপের বাড়ীতে নিয়ে যান।এই সুযোগে আমার স্বামী রাতের অন্ধকারে এসে বাড়ীটি জ্বালিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।রাতে বাড়ীতে আগুন দেখে পাশ্ববর্তীরা সহ পাশে বাসায় থাকা হাইওয়ে পুলিশ সদস্যেরা এগিয়ে এসে আগুন নিবাতে-নিবাতে বাড়ীটি পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।বাড়ীর ভিতরে নগদ টাকা,ফার্নিচার সহ সবমিলিয়ে আড়াই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।এখন আমাদের থাকার কোন স্হান নেই,নেই কাপড়-চোপড়,নেই খাবার।তাই আমি মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছি।
এবিষয়ে অত্র ওয়ার্ডের মেম্বার রিয়াজ উদ্দিন সিপু বলেন,ঘটনা শুনে আমি ঘটনাস্থল গিয়েছিলাম।পাষন্ড স্বামী রহিম তার স্ত্রীকে মারধর করার পর পুড়িয়ে মারতে রাতে আধারে বাড়ীটি জ্বালিয়ে দিয়েছেন।মূলত লোকটির স্বভাব ভাল নয়।তাই ঘটনা আমি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।পরিবারটি এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।তবে আমি আমার সাধ্যমত সহযোগিতা দিয়েছি,দিব।