• সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
লামা ফাঁসিয়াখালীতে মসজিদের নাম দিয়ে ব্যবসায়ীর পৈতৃক সম্পত্তি দখলের পায়তারা দর্শনায় মাদক বিরোধী অভিযানে ৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার মারছা গাড়ীর ধাক্কায় লাইফ সাপোর্টে কলেজ ছাত্রী রাকিব জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত মহেশপুরে স্ত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ভ্যানচালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা জুলি ও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা পেকুয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী, ছেলেসহ আহত-২ চকরিয়ায় শিশু হত্যার প্রধান আসামী সুমাকে গ্রেফতার করেছেন র‍্যাব-১৫ চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানা আকষ্মিক পরিদর্শন এবং আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করেন পুলিশ সুপার ৬০ বছর বয়সে ফের বিয়ে করলেন আশিষ বিদ্যার্থী

পেকুয়ায় ভূল চিকিৎসায় মারা গেল ৪ লক্ষ টাকা মূল্যের গাভীটি

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি / ৩৬ Time View
আপডেট : সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩

পেকুয়ায় চিকিৎসকের ভূল চিকিৎসায় মারা গেছে ৪ লক্ষ টাকা মূল্যমানের একটি গৃহপালিত পশু। এ নিয়ে পশু চিকিৎসক ও গরুর মালিকের মধ্যে ব্যাপক বাকবিতন্ডাসহ হট্টগোল হয়েছে। দায় এড়াতে পশু চিকিৎসক দ্রæত ওই স্থান থেকে সটকে পড়ে। শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মরিচ্যাদিয়া নামক এলাকায় এ কান্ড ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মরিচ্যাদিয়ায় মাষ্টার ছগির আহমদের গৃহপালিত পশুর খামার রয়েছে। তার পুত্র মিজবাহ উদ্দিন দারিদ্র বিমোচন ও আত্মকর্মসংস্থানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে এ পেশায় জড়িত। মিজবাহ উদ্দিন মিজু শিক্ষিত যুবক। নিজ বাড়িতে কয়েকটি গৃহপালিত পশু পালন করছিলেন। সম্প্রতি ১ টি গৃহপালিত বিদেশি জাতের গাভী অসুস্থ হয়। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামান গাভীটির চিকিৎসা করছিলেন। তিনি কয়েকদফা মরিচ্যাদিয়ায় মিজবাহ উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে পশুটির চিকিৎসা করান। এ দিকে গত শনিবার বিকেলে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামানসহ প্রাণী সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে তার অনুগত ৩ জনসহ মরিচ্যাদিয়ায় মিজবাহ মিজুর বাড়িতে যান। এ সময় মিজুর গৃহপালিত বিদেশী জাতের গাভীটির চিকিৎসা করছিলেন। এ ব্যাপারে গাভীর মালিক মরিচ্যাদিয়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাষ্টার ছগির আহমদের ছেলে মিজবাহ উদ্দিন মিজু বলেন, চিকিৎসকের ভূল চিকিৎসায় আমার সর্বনাশ হয়েছে। ১ টি গরু মারা পড়েছে ডাক্তার আসাদুজ্জামানের মনগড়া চিকিৎসার কারণে। তিনি আরো জানান, আমি ১০/১৫ বছর ধরে নিজ বাড়িতে পশু পালন করছিলাম। আমি এ পেশা থেকে স্বাবলম্বী হয়েছি। আমার খামারে ১ টি গাভী অসুস্থ হয়ে পড়ে। ১০/১৫ দিন যাবৎ এ গাভীটির চিকিৎসা করছিলেন আসাদুজ্জামান। শনিবারে গরুটির শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়। আমি ডাক্তার সাহেবকে বাড়িতে ডেকে পাঠাই। তিনি এসে আমার গাভীটির পেটের ভেতরে ১ টি লোহার রড ডুকিয়ে দেন। মূলত পেট থেকে গ্যাস (বায়ু) বের করতে এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতি ও সিদ্ধান্তের দিকে ধাবিত হন তিনি। রড পেটে প্রবেশ করানোর মুহুর্তের মধ্যে ৮ মাসের গর্ভবতী গরুটির মধ্যে মারাত্মক অস্তস্তিবোধ তৈরী হয়েছে। আধাঘন্টা মৃত্যু যন্ত্রণার পর গরুটি মারা পড়ে। বিদেশি জাতের উচ্চ ফলনশীল প্রজননসহ গরুটি মারা পড়েছে। মাও মারা গেছে আবার পেটে থাকা বাছুরটিও মারা পড়েছে। এ ব্যাপারে মিজুর ছোট ভাই মিফতাহ উদ্দিন মেনন এম,এ জানান, ডাক্তারের ভূল চিকিৎসায় আমার ভাইয়ের ৪ লক্ষ টাকা দামী গাভীটি মারা গেছে। আসাদুজ্জামান ৪/৫ বার এসেছে। প্রতিবার চিকিৎসার সময় ৪ হাজার টাকা চিকিৎসা ফি ও ১ হাজার টাকা গাড়ীভাড়াসহ ৫ হাজার টাকা নেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে সরকার তাকে চাকুরী দিয়েছে জনগনের কল্যাণের জন্য। পশুর উন্নতি ও সম্প্রসারণ করা তার কাজ। কিন্তু চিকিৎসার জন্য কেউ নিয়ে আসলে কেন তিনি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা নেন? এ প্রশ্ন আমার। প্রত্যক্ষদর্শী কাজের মোহাম্মদ জানান, এসে আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। গরুটি কত বড় দেখেন। লোকজন এসে গর্ত খুড়ছে গরুটির মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে ফেলতে। প্রতিবেশী মোজাফ্ফরের স্ত্রী খতিজা বেগম বলেন, এ গরুটির সেবা যতœ আমি করি। ডাক্তার এসে পেটে রড ডুকিয়ে দেওয়ার পর গাভীন গরুটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ১ টি শিংও ভেঙ্গে গেছে মৃত্যু যন্ত্রণায়। এ ব্যাপারে পশুটির চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত পেকুয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামান বলেন, আসলে এখানে ভূল চিকিৎসা ছিল না। প্রচন্ড যন্ত্রণায় ছিল পশুটি। আমি মূলত ১ জন চিকিৎসক। এখন আপনারা বলেন কোন চিকিৎসক কি ইচ্ছা করে এমন পরিস্থিতি তৈরী করে। আসলে এটি বিজ্ঞান সম্মত সমাধান ছিল। আসলে আর করার কিছু ছিল না।

.


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি