আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত কার্যক্রমের অংশ হিসাবে আগামী ২২ মার্চ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে সারাদেশের আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ও চতুর্থ পর্যায়সহ ৫৭ হাজার ৭৩৭টি গৃহ হস্তান্তর করবে। এরই অংশ হিসাবে ঠাকুরগাঁওয়ে মোট ৫৭৫ টি গৃহ এর মধ্যে রাণীশংকৈল উপজেলায় চতুর্থ ধাপে আরো ১৬০ টি, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ২৬০টি, পীরগঞ্জে ১৫৫টি পরিবারকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ইন্দ্রজিৎ সাহা, ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সামওয়েল মার্ডী,
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সকল সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সময়েল মার্ডী বলেন,
রাণীশংকৈলে ১৬০ টি ঘরের সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। শুধুমাত্র উদ্বোধনের আপেক্ষা। অসহায়, হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল ১৬০ টি পরিবার তাদের কাঙ্খিত গৃহ পেতে যাচ্ছ।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ জানান, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও ভুমিহীন বা গৃহহীন থাকবে না” প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাণীশংকৈল উপজেলায় ইতোমধ্যে ১৩৬৮ টি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ের ১৬০টি পরিবারকে পাকা গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে।
আগামী ২২ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হস্তান্তর করবে। প্রতিটি গৃহে দুটি বেডরুম, একটি বারান্দা, একটি রান্নাঘর ও একটি টয়লেট রয়েছে প্রতিটি ঘরে নির্মাণ ব্যয় ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫শ টাকা। প্রতিটি গৃহে পৃথক মিটারসহ বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে এ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।