চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের খাসমহাল পাহাড়িরাপাড়া এলাকায় ভাইয়ের কেনা জায়গা নিয়ে অপর ভাইয়ের পরিবার সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। দুইমাস আগে এলাকার স্থানীয় বিচারকদের উপস্থিতিতে ভুক্তভোগী শাহাব উদ্দিনের কেনা জায়গার অংশ আপোষ মতে বুঝিয়ে দেওয়া হলেও সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে অপর ভাই জসিম উদ্দিন ও তার ছেলে বেলাল উদ্দিন মিলে জায়গার ঘেরাবেড়া ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় গৃহকর্তা শাহাব উদ্দিন বাদি গতকাল চকরিয়া থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছেন।
চকরিয়া থানার এজাহারে বিএমচর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের খাসমহাল পাহাড়িরাপাড়া এলাকার মৃত ইয়াকুব নবীর ছেলে জসিম উদ্দিন ও তার ছেলে বেলাল উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদি শাহাব উদ্দিন (৬৫) বলেন, ২০১৫ সালে ভেওলা মানিকচর মৌজার বিএস ৫৭৬৯ দাগের মালিক মাস্টার নুরুল আলমের কাছ থেকে দলিলমুলে ৩৪ কড়া জমি ক্রয় করেন। তদমধ্যে তিনি (শাহাব উদ্দিন) ১৪ দশমিক ১২ কড়া, ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম ১৭ কড়া ও অপর ভাই জসিম উদ্দিন ৩ কড়া জমির মালিক।
স্থানীয় লোকজন ও ভুক্তভোগী পরিবার সদস্যরা বলেন, তিনি ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করলেও এতদিন তার কাছে দখলে আছে ৮ কড়া জমি। অবশিষ্ট জমি ভাই জসিম উদ্দিনের বাড়িভটায় রয়েছে। দুইমাস আগে পরিবারের সবার বড়ভাই মৌলভী গিয়াস উদ্দিন, স্থানীয় বিচারক জহিরুল ইসলাম, মসজিদের মুয়াজ্জিন ফরিদল আলম, সমাজসেবক ফেরদৌস আহমদ, জাকের সওদাগরের উপস্থিতিতে জসিম উদ্দিনের অংশ থেকে ভুক্তভোগী শাহাব উদ্দিনের কেনা চার কড়া জমি আপোষ মতে বুঝে দেওয়া হয়েছে। সেসময় ওই জায়গা থেকে জসিম উদ্দিনের রোপণ করা কিছু চারাগাছ তুলে নিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী শাহাব উদ্দিন বলেন, আমার কেনা জায়গা ৬ কড়া ১২ শতাংশ ভাই জসিম উদ্দিনের ভিটায় থাকলেও দুইমাস আগে বিচারকরা আমাকে চার কড়া জমি ফেরত দিয়েছেন, তাতে আমি খুশি। ওইসময় জায়গাটি আমি ঘেরাবেড়া দিয়েছি। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে আমার ওই চার কড়া জায়গা দখলে নিতে ভাই জসিম উদ্দিন ও তার ছেলে বেলাল উদ্দিন মিলে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হামলা চালিয়ে জায়গার ঘেড়াবেড়া ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন।
এখন উল্টো আমাকে এবং আমার পরিবার সদস্যদের নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে তাদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছি। আমি এরই প্রেক্ষিতে প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বাদির এজাহারের আলোকে আইনী পদক্ষেপ নিতে পুলিশের এএসআই নাছির উদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনের ছেলে বেলাল উদ্দিন বলেন, আমি ঘেড়াবেড়া ভাঙ্গিনি, আমার বাবা ভেঙেছে এবং জায়গাটি আমাদের। ##