কক্সবাজারের পেকুয়ায় রাজাখালী ইউনিয়নের নতুনঘোনায় শনিবার (২৭ মে) বিকেলে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রবাসীর স্ত্রী, ছেলেসহ ২ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ একটি দোকানে অভিযান চালায়। দোকানটিতে ফেন্সিডিলসহ মাদকদ্রব্য মজুদ রাখার গোপন তথ্য পান পুলিশ। তল্লাশী শেষ করার পর পুলিশ চলে আসে। এর জের ধরে নতুনঘোনায় দোকানের মালিক শাহারুখের পুত্র আলী জাফরসহ ২/৩ জনের উত্তেজিত লোকজন সৌদি প্রবাসী নুরুল আমিনের স্ত্রী ফরিদা বেগমের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ান। এক পর্যায়ে আলী জাফরসহ দুবৃর্ত্তরা ফরিদা বেগম (৩৫), ছেলে রিয়াদ (১৭)কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত কয়েক মাস যাবৎ নতুনঘোনায় শাহারুখের পুত্র আলী জাফর ও প্রতিবেশী নুরুল আমিনের স্ত্রী ফরিদা বেগমের মধ্যে বিরোধ প্রকট আকার ধারণ করে। প্রবাসীর স্ত্রী ফরিদা বেগমের অভিযোগ আলী জাফর তার দোকানে মাদক বিক্রি করে। রাজাখালীসহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাদকসেবীরা সেখানে গিয়ে মাদকের আসর বসায়। মাদকাসক্ত অবস্থায় তারা প্রবাসীর স্ত্রী ফরিদা বেগমসহ লোকালয়ের নারীদের নিয়ে যৌন হয়রানিমূলক আচরণে লিপ্ত থাকে। এর সুত্র ধরে আলী জাফর ও ফরিদার মধ্যে বিরোধের সুত্রপাত হয়েছে। গত কয়েক মাসের ব্যবধানে দু’পক্ষের মধ্যে একাধিকবার বাকবিতন্ডাসহ মারামারি হয়েছে। পেকুয়া থানায় দু’দফা অভিযোগ গেছে। কোর্টেও মামলা রুজু আছে। একটি সিআর পিটিশনের তদন্ত করছে পিবিআই। ঘটনার দিন বিকেলে পেকুয়া থানার দু’জন এ,এস,আইসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নতুনঘোনায় আলী জাফরের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে। তবে পুলিশ কোন আলামত জব্দ করতে পারেননি। এর সুত্র ধরে পুলিশ চলে আসার পর দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়ানো হয়েছে। পেকুয়া থানার ওসি ওমর হায়দার জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।