• শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

পেকুয়ায় আগুন দিয়ে পোড়াল ফার্মেসী

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি / ১৮২ Time View
আপডেট : রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩

কক্সবাজারের পেকুয়ায় গভীর রাতে আগুন দিয়ে পুঁড়াল একটি ওষধের দোকান। পাওনা বকেয়া টাকা নিয়ে পল্লী চিকিৎসক ও স্থানীয় পাওনাদারের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে রাতে ওষধের দোকানের মালিককে হেনস্থাসহ মারধর করা হয়। এমনকি গভীর রাতে ওই ওষধের দোকানটিতে মলও ছোড়ে। এর পরের দিন গভীর রাতে লোকালয়ের এ দোকানটি আগুন দিয়ে পুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ৩ জুন (শনিবার) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বামলারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দিবাগত গভীর রাতে বামলারপাড়ায় ছৈয়দুল করিমের মালিকানাধীন মেসার্স শামীম ফার্মেসী নামে একটি ওষধের দোকান আগুনে পুঁড়ে ভস্মীভূত হয়। রাত ৩ টার দিকে আগুনের লেলিহান শিখায় দোকানটি পুঁড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে পেকুয়ার ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। দুবৃর্ত্তরা আগুন দিয়ে পুঁড়িয়ে দিয়েছে এমন জানিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশের জাতীয় সেবা “ত্রিপল নাইনে” ফোন করে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন। এ দিকে খবর পেয়ে ৪ জুন (রবিবার) সকাল ৮ টার দিকে অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত ক্ষতিগ্রস্ত ফার্মেসীটি দেখতে বামলারপাড়ার কয়েকশত গ্রামবাসী সেখানে জড়ো হন। এ সময় তারা আগুন দিয়ে ফার্মেসী পুড়িয়ে দেওয়ার সাথে জড়িত চিহ্নিত দুবৃর্ত্তদের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। এমনকি এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তার দাবী করে তারা। এ ব্যাপাারে শামীম ফার্মেসীর মালিক বামলারপাড়ার সাহাব মিয়ার পুত্র ছৈয়দুল করিম জানান, বকেয়া টাকা চাওয়া নিয়ে তার সাথে একই এলাকার মৃত বজল করিমের পুত্র জামাল হোসেনের সাথে শনিবার রাত ১০ টার দিকে ওসমানের দোকানে বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে জামালসহ তার অনুগত ৫/৬ জন মিলে ছৈয়দুল করিমকে মারধরসহ হেনস্থা করে। এমনকি ওই দিন গভীর রাতে একই দুবৃর্ত্তরা তার ফার্মেসীতে মল ছোঁড়ে। পরের দিন রবিবার দিবাগত গভীর রাতে জামালসহ আনছার বাহিনীর লোকজন তার ফার্মেসীতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার স্ত্রী সেতারা বেগম, প্রতিবেশী রাজা মিয়া, আবু ছালেক, জাকের হোসেন বাদশাহ, বদি আলমসহ আরো অনেকে জানান, ফার্মেসীটি আগুন দিয়ে পুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকী টাকা চাওয়ায় তার অপরাধ। প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি