• শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

ঝিনাইদহের মহেশপুরে কপোতাক্ষ দখল করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, আড়ত

মোঃ আশিকুর রহমান শাওন ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি / ৬২ Time View
আপডেট : বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩

কপোতাক্ষ নদের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। গত কয়েক বছরে নদের প্রায় কোটি টাকার ১৫ শতক জায়গায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, আড়ত, মাছের বাজার, বরফকলসহ ২২টি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।

এই জমি নদের ঝিনাইদহ মহেশপুর উপজেলা শহরের পৌর ভবন ও মহেশপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ এলাকায়।

স্থানীয় লোকজন বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মহেশপুর রাধাবল্লভ মন্দির কমিটির কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে নদের জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। বন্দর কমিটি নদের জমি তাদের দাবি করে ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন। অল্পদিনেই সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ২২টি স্থাপনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহেশপুর রাধাবল্লভ মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার পাল জানান, মহেশপুর পৌর কার্যালয় ও মহেশপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ এলাকায় তাঁদের ৩৫ শতক জমি আছে। বর্তমান রেকর্ডে মন্দিরের নামে আছে। তবে সিএস রেকর্ডে কার নামে সেটা বলতে পারেননি। তিনি বলেন, তাঁরা জায়গাটি ভাড়া দিয়েছেন। তাঁদের পাশে পৌরসভা নদের জায়গা ভরাট করেছে।

নদের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে কথা বলার জন্য সম্প্রতি মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নয়ন কুমার রাজবংশীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ২৬ জুলাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ শাওন জানান, এ বিষয়ে এখনো তাঁকে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। এই প্রথম তিনি অভিযোগ পেলেন। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন এবং নদীর জায়গা দখল হয়ে থাকলে তা উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেবেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কপোতাক্ষ নদটি মহেশপুর উপজেলার পুরন্দপুর এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে খালিশপুর বাজার পার করে মহেশপুর শহরে প্রবেশ করেছে। মহেশপুর শহর পেরিয়ে বৈচিতলা হয়ে আবারও শহরের আরেক পাশ দিয়ে বয়ে আজমপুর হয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলায় প্রবেশ করেছে। সেখান থেকে চৌগাছা হয়ে যশোরের কেশবপুরে মিলেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কপোতাক্ষ নদের মহেশপুর শহরসংলগ্ন মহেশপুর পৌরসভা ভবনের সামনে বেশ কিছু স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এই স্থানে নদের উত্তরে রয়েছে মহেশপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ। আর দক্ষিণে মহেশপুর পৌরসভা ভবন। এ ছাড়া ওই স্থানেই রয়েছে একটি সেতু। ওই সেতুর দুই পাশে বেশ কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। এই নদের দক্ষিণপাড় ভরাট করে একের পর এক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
সর্বশেষ মহেশপুর শহরের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম অন্যদের চেয়ে আরও অতিরিক্ত ১০ থেকে ১২ ফুট নদের মধ্যে প্রবেশ করে বরফকল নির্মাণ করছেন। নদের তলদেশ থেকে পিলার উঠিয়ে এই বরফকল নির্মাণ করছেন।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নদ দখল করে মাছ বাজার বসানো হয়েছে। আর এই বাজারকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে দুটি বরফ কলসহ প্রায় ২২টি স্থাপনা করা হয়েছে। এখনো নদ ভরাট অব্যাহত রয়েছে।

নতুন করে নদ ভরাট করে বরফকল নির্মাণের ঘটনায় জড়িত বরফকলের মালিকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি রাধাবল্লভ মন্দির কমিটির কাছ থেকে মাসিক ভাড়ায় জায়গাটি নিয়ে ব্যবসা করছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি