কক্সবাজারের পেকুয়ায় প্রবাসীর বাড়িতে লুটপাটসহ ব্যাপক তান্ডব চালানো হয়েছে। এ সময় ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রবাসীর স্ত্রী, মেয়েসহ একই পরিবারের ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ১১ আগষ্ট (শুক্রবার) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন আক্তার ভবনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ওই এলাকার সৌদি প্রবাসী আক্তার আহমদের স্ত্রী লায়লা বেগম (৪৫), মেয়ে লাকী আক্তার (২০), ছেলে রাকিবুল ইসলাম (১৪)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিগত ৪ বছর পূর্বে সৌদি প্রবাসী আক্তার আহমদের মেয়ে লাকী আক্তার ও একই ইউনিয়নের শেখেরকিল্যা ঘোনার আজগর আলীর পুত্র রাশেদুল ইসলামের বিয়ে হয়েছে। ওই দম্পতির সংসারে ফুটফুটে একটি শিশু জন্ম গ্রহণ করেন। জানা গেছে, যৌতুক নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর সংসারে কলহ দেখা দেয়। লাকী আক্তারের স্বামী রাশেদ মাদকাসক্ত। প্রায় সময় নেশা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এরই মধ্যে রাশেদ আরেক নারীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে যান। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সংসারে টানা পোড়ন চলছিল। যৌতুক ও পরকীয়া নিয়ে রাশেদ অনেকবার স্ত্রীকে করে। এক পর্যায়ে পিটিয়ে রাশেদ তার স্ত্রী লাকী আক্তারকে সংসার থেকে বিতাড়িত করে। গত দুই মাস আগে স্বর্ণালংকার, কাপড় চোপড় কেড়ে নিয়ে নির্দয় পিটিয়ে স্ত্রীকে বের করে দেয়া হয়। ওই ঘটনায় লাকী আক্তার বাদী হয়ে আদালতে মামলা রুজু করে। এ দিকে ঘটনার দিন সকালে লাকী আক্তারের স্বামী রাশেদুল ইসলাম ও তার বন্ধু নুর হাসপাতালের কর্মরত কর্মচারী ফোরকানসহ ৬/৭ জনের ভাড়াটে লোকজন লাকী আক্তারের পিতার বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় উত্তেজিত লোকজন লাকী আক্তারের পৈত্রিক নিবাস পেকুয়া বাজারের নিকটে আক্তার ভবনে তান্ডব চালায়। তারা ওই ভবন থেকে মালামাল লুটপাটসহ ভাংচুর করে। এ সময় ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের হামলায় লাকী আক্তার ও তার মা লায়লা বেগম এবং তার ছোট ভাই রাকিবুল ইসলাম আহত হয়েছে। তারা হামলা ও ভাংচুরের এ ঘটনা পুলিশের জাতীয় সেবা “ত্রিপল নাইনে”ফোন দিয়ে অবহিত করে। পেকুয়া থানার ওসি ওমর হায়দার জানান, আগে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।