‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আপনাদের খবর নিতে এসেছি। সেইসাথে আপনাদের কি কি প্রয়োজন তা দু’হাত ভরে দিতে এসেছি।’ শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারের পেকুয়ার বন্যা কবলিত মানুষকে ত্রাণ দেওয়ার অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মো. এনামুর রহমান এমপি।
উপজেলা পরিষদের হল রুমে অনুষ্ঠিত এ ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা। এসময় প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার গণমানুষের সরকার। এ সরকার সাধারণ মানুষদের জন্য অন্তত ১৪৩ ধরনের ভাতা চালু করেছে। যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। আপনারা এ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজেদের একা মনে করবেন না। শেখ হাসিনার সরকার আপনাদের পাশে আছে।’ এসময় উপস্থিত জনতা টেকসই বেড়িবাঁধ ও নদী রক্ষা বাঁধের দাবী জানালে প্রতিমন্ত্রী তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম এমপি, স্থানীয় সাংসদ জাফর আলম, মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, দুর্যোগের ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কেএম আবদুল ওয়াদুদ, সহকারী পুলিশ সুপার একেএম রাকিবুর রেজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক,উম্মে কুলসুম মিনু,উপজেলা আওয়ামীলীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি সাইফুদ্দিন খালেদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম, বারবাকিয়া ইউপির চেয়ারম্যান বদিউল আলম জিহাদি,রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল,শিলখালী ইউপির চেয়ারম্যান কামাল হোছাইন,উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.বারেক,জেলা পরিষদের সদস্য এইচ এম শওকত প্রমূখ।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, পেকুয়ার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যমকর্মীসহ সমাজের সকল মানুষদের পাশে পেয়েছি। এতে আমাদের কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যায়। ইতোমধ্যে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। বানবাসীদের মাঝে সরকারি ত্রাণ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ মজুদ আছে। যাদের খাবার লাগবে তাঁদের জন্য খাদ্যশস্য ও যাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে তাঁদের জন্য ঘর নির্মাণের সামগ্রী মজুদ আছে। আপনারা উপজেলা প্রশাসন বরাবর তালিকা জমা দিবেন। ত্রাণ সামগ্রী আপনাদের কাছে পৌঁছে যাবে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বানবাসী মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। পেকুয়া উপজেলায় বন্যায় নিহত ছয় জনের পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা অনুদানের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে আরও সাড়ে চার লক্ষ টাকা ও পঁচিশ মে.টন চাল বিতরণ করা হয়।