বান্দরবানের আলীকদমের তৈন এলাকায় স্ত্রী সহ বেড়াতে গিয়ে পা পিছলে তৈন খালের দৌছড়ী ক্যানশন পাড়া এলাকার চাইমপ্রা ঝর্নায় তলিয়ে গিয়ে স্ত্রীর সামনেই নিহত হয়েছে পর্যটক স্বামী মোহাম্মদ আতাহার ইশরাক রাফি। নিহত রাফির গ্রামের বাড়ী চকরিয়ার বদরখালী।
হতভাগ্য রাফি চট্টগ্রাম নগরির বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা মিসেস তসলিমা জন্নাত ও চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ৩নং ব্লক টুটিয়াখালী পাড়ার বাসিন্দা শওকত আলী এমএ’র প্রথম পুত্র।
বদরখালী হাবিবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল করিম জানান, তাঁর চাচা শওকত আলী এম এ বদরখালীর বাসিন্দা হলে ও চট্টগ্রামে বসবাস করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। এমনকি তাঁর চাচী তসলিমা বেগম চট্টগ্রাম বাকলিয়া সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে চাকুরীরত। এ কারণে তাঁর চাচাতো ভাই রাফি জন্মভূমি বদরখালীতে খুব কমই আসা-যাওয়া করে। সর্বশেষ গত ১১ আগষ্ট রাফি সহ ২৫ জনের একটি দল বান্দরবানের ঝর্ণায় যায়। সেখানে ভ্রমন করার সময় এক পর্যায়ে পা পিছলে ১২ আগষ্ট সন্ধায় পাহাড় থেকে নীচে পড়ে যায়। সেখানে দীর্ঘ ৬ ঘন্টা যাবৎ সহপাঠীরা চেষ্টা করার পর তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার রাফিকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর মতে মোহাম্মদ আতাহার ইশরাক রাফি আলীকদম ঝর্ণায় গোসল করতে নেমে পাথরে পড়ে পানিতে ডুবে নিজ স্ত্রীর সামনে মৃত্যু বরন করেন। আজ ১৩ আগষ্ট রাতে চকরিয়ার বদরখালী গ্রামের বাড়ীতে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।