নাটোরের সিংড়ায় ছাতারদিঘী ইউনিয়নের পাকিশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন লায়নের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আলমগীর হোসেন লায়ন একটি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন। তিনি এসএসসি ও এইচএসসি তে তৃতীয় বিভাগ পান। ২০০৮ সালের পরিপত্র অনুযায়ী একটিতে তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য। তিনি তথ্য গোপন করে পাকিশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে ২০১৬ সালে দায়িত্ব নেন। প্রধান শিক্ষক হওয়ার পর স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠে। তার স্ত্রী শিল্পী খাতুন, চাচাতো বোন আর্শেদা বানু কর্মরত রয়েছেন। সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক পদ থেকে পিআরএল রয়েছেন। তার স্ত্রী কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।
ঐ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আহসান হাবিব কে বাদ দিয়ে জুনিয়র শিক্ষক তারই স্ত্রী শিল্পী খাতুন কে দায়িত্ব দেওয়ায় আবারো সমালোচনার মধ্যে পড়েন।
অভিযোগ উঠেছে, প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন আলমগীর হোসেন লায়ন ওই বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ, হারমোনিয়াম, প্রজেক্টের সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বাসায় নিয়ে ব্যবহার সহ স্কুলের সম্পদ আত্মসাত করেছেন। স্কুলের তিন বিঘা জমি চাষাবাদ করে নামমাত্র মূল্য প্রদান করেন বলে জানা যায়। ২০০৭ সালে ওএমএস এর চাল বিক্রি সহ চুরির অভিযোগে ২১ দিন কারাবাস কাটান। স্কুলের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব দুর্নীতির বিরোধিতা করে সহকারী শিক্ষক মোঃ আহসান হাবিব। যার ফলে গ্রেডেশান তালিকায় ১০৬ নং এ থেকে ও তার স্ত্রী মোছাঃ শিল্পী খাতুন ১৩০ নং কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এর দায়িত্বে রাখতে চান। যাতে করেনির্দিধায় যেন স্কুলের সম্পদ আত্মাসাত করতে পারেন। বিভিন্ন কৌশলে, নানা অজুহাত দেখিয়ে স্থানীয় একজন প্রভাব শালী ব্যক্তিকে দিয়ে আহসান হাবিব কে অন্য বিদ্যালয়ে ডেপুটেশন দিয়ে হয়রানি করছে।
এ বিষয়ে আহসান হাবিব বলেন, ১০ মাস নিখিরা বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে পাঠানোর পর বিদ্যালয়ে যোগদান করি । বিদ্যালয়ে যোগদান পর আমাকে আবারে ডেপুটেশন দেয়ার চেষ্টা শুরু করে যা নিয়ম বহির্ভূত।
বিদ্যালয়ের পরিবেশ এবং পড়ালেখা নস্যাৎ করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষতি হবে। এ বিষয় স্থানীয় জনসাধারণ এবং অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন। আশা করি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের পরিবেশ সুন্দর হবে।
অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন লায়ন বলেন, ওই স্কুলের শিক্ষিকা আমার স্ত্রী শিল্পী খাতুন। তাই আসবাবপত্র গুলো আমার নিজ বাড়িতেই রেখে দিয়েছি। সময় মত দেয়া হবে বলে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফ আলী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা খাতুন এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।