কক্সবাজারের পেকুয়ায় আগুনে পুড়ে গেছে বারো পরিবারের চার বসতবাড়ি। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বকশিয়াঘোনা এলাকায় অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে।
বসতবাড়ির মালিক এরশাদুর রহমানের স্ত্রী জুলেখা বেগম জানান, আমার বসতঘরে গভীর রাতে আগুন লাগে। তখন আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় শরীরের আগুনের তাপ লাগে আমার ঘুম ভাঙে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তখন এরশাদুর রহমানের ভাই মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, জিল্লুর রহমান, জাকের উল্লাহ, তার ছেলে মকছুদুর রহমান, হামিদুর রহমান, মৃত আবুল কাসেমের স্ত্রী নুরুজ্জাহান, ছেলে আমির হোসেন ,ইমাম হোসেন, মৃত হাসান শরীফের ছেলে মনছুর ও তার ছেলে বেলাল উদ্দিনের বাড়ি সম্পুর্ণ পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে।
বসতবাড়ির মালিক ইমাম হোসেন জানান,আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ আগুনের তীব্রতায় ঘুম ভেঙে যায়। রান্নাঘরে আগুন জ্বলছে। দ্রæত ছোট্ট বাচ্চাকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ি। মুহুর্তের মধ্যে আগুন চারদিক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ আগুনে একে একে বারো পরিবারের চারটি বাড়ি চোখের সামনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে তিনি আগুনের সুত্রপাত সম্পর্কে নিদির্ষ্ট করে বলতে পারেননি।
নগদ টাকা,স্বর্ণালংকার,আসবাবপত্রসহ ২০-২৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন।
আগুন নিভাতে আসা হাজি বাদশাহ, নাছির উদ্দিন, জমির হোসেনসহ স্থানীয় লোকজন বলেন,আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ছুটে আসি। তখন বিদ্যুত ছিল। বিদ্যুত বন্ধ করে দেওয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুতের অফিসে বারবার ফোন করি। প্রায় আধাঘন্টা পরে তারা কল রিসিভ করে।
একদিকে আগুনের ভয়াবহতা,অন্যদিকে বিদ্যুতের কারনে মানুষ তাৎক্ষণিক আগুন নেভাতে পারেনি। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই বাড়িগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে একজন প্রবাসী ছাড়া সকলেই লবনচাষী। ইউপি সদস্য ছলিম উল্লাহ আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পেকুয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ শফিউল আলম জানান, আগুনের খবর পেয়ে আমরা দ্রæত গিয়েছি। আগুনের সুত্রপাত হয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি।